দক্ষিণবঙ্গের সাথে সাথে উত্তরবঙ্গেও চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের, চরম অস্বস্তি দলে উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমাগত গেরুয়া শিবিরে ভাঙন হয়ে চলেছে। এই ভাঙনের হাত ধরেই কিছুদিন আগে গেরুয়া শিবিরের উচ্চপদস্থ নেতা মুকুল রায় চলে গিয়েছেন শাসক দল তৃণমূলে। আর তারপরে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এর জেলা বিজেপি সভাপতি তৃণমূলে চলে আসেন তাঁর বেশ কিছু অনুগামীকে নিয়ে। তবে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের সাথে সাথে গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও এবার ধ্বস নামছে গেরুয়া শিবিরে। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলা থেকে তৃণমূলে সামিল হওয়ার আবেদন জমা পড়েছে বড় আকারে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কোচবিহার থেকেই ইতিমধ্যে 1 লক্ষ 5 হাজার আবেদন তৃণমূলে জমা পড়েছে। এরপর আলিপুরদুয়ার জেলা থেকেও 90 হাজার আবেদন এসেছে বলে শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি মালদা, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং কোথাও বাদ নেই তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার আবেদনে, আর সেখানেও সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরাই নন, উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক এবং জেলা সভাপতিরাও। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা গেরুয়া শিবিরের কাছে চরম অস্বস্তিজনক বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি থেকে দলে ফেরানো নিয়ে কিছুটা চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেক্ষেত্রে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের দলে ফেরানো হলেও দলবদলু নেতাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের চিন্তাভাবনার বেশ কিছুটা ফারাক থাকবে এক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। কারণ, দক্ষিণবঙ্গে যেমন তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, উত্তরবঙ্গের বুকে কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির প্রমাণ করেছে তাঁদের সংগঠন সেখানে বেশ শক্তপোক্ত। তাই সেখানকার সংগঠনে যখন চিড় ধরেছে তার সুযোগ তৃণমূল যে নেবেই তা এক কথায় বলা যায়। এক্ষেত্রে বিজেপিকে দুর্বল করাই মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে ধরে নেওয়া যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা আলাদা রাজ্য করার যে দাবী নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন, তারই ফলস্বরূপ দলের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। অন্যদিকে রাজনীতির কারবারীদের দাবি, এই পুরো ঘটনার পেছনে অবশ্যই কাজ করছে চাণক্য মুকুল রায়ের মাথা। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের কাছে এখন উত্তরবঙ্গের সংগঠন বাঁচানোই অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আপাতত এই পরিস্থিতি সামলাতে গেরুয়া শিবির এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -