এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ডাক্তারের সঙ্গে কথাবার্তা না বলেই মুড়ি-মুড়কির মতো নিচ্ছেন ওষুধ, নিজের অজান্তেই কি ডেকে আনছেন নিজের বিপদ?

ডাক্তারের সঙ্গে কথাবার্তা না বলেই মুড়ি-মুড়কির মতো নিচ্ছেন ওষুধ, নিজের অজান্তেই কি ডেকে আনছেন নিজের বিপদ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যথেষ্ঠ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাকে। হাসপাতালে বেডের অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে অনেকে করোনা সংক্রামিত হলেও হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। সমস্যা কম থাকলে ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনেকে ওষুধ খাচ্ছেন।

কিন্তু আবার অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ নিতে শুরু করেছেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ঘরে ওষুধ জমাতে শুরু করেছেন অনেকে। মুড়ি-মুড়কির মতো অনেকে খাচ্ছেন করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত একাধিক কড়া ওষুধ। এর ফলে নিজের অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন অনেকে। ভুল ওষুধ প্রয়োগ থেকে মৃত্যুর মতো বিপদও ঘনিয়ে আসতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।

বেশ কয়েকটি ওষুধ সম্প্রতি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই এই ওষুধ গুলি কারণ ছাড়াই বাড়িতে রাখতে শুরু করেছেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অনেকে এই ঔষধগুলি কিনছেন। এমন একটি ওষুধ হলো রেমডেসিভি। চিকিৎসকের জানাচ্ছেন, এই ওষুধটি কখনোই বাড়িতে ব্যবহার করা উচিত নয়। করোনা সংক্রমণ মাঝারি বা অধিক মাত্রায় হলে, যদি অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়, তবে এই ইনজেকশন হাসপাতালে ব্যবহার করা হয়। এটি বাড়িতে ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরকমই অপর একটি ওষুধ হলো ডেক্সামেথেসোন। এটি একটি স্টেরয়েড ধর্মী ঔষধ। করোনার উপসর্গ যদি তীব্র আকার ধারণ করে, তবে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। হাসপাতাল ছাড়া বাড়িতে এই ওষুধ ব্যবহার করার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। এই ওষুধ সাধারণত ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। আবার অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টসও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত। করোনার উপসর্গ মাঝারি বা তীব্র আকার ধারণ করলে তবেই এই ওষুধ দেয়া হয়। এটি রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে সহায়তা করে।

আবার করোনা রোগীর অবস্থা যদি আশঙ্কাজনক হয়, তবে তাকে টোসিলিজুমাব দেওয়া হয়। স্টেরয়েড দেবার দীর্ঘ সময় পরও যদি তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হয়, তবে টোসিলিজুমাব দেয়া হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাড়িতে বসে এটি গ্রহণ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যাতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে বলে, সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ কেনার বারবার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ কিনে থাকেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া বিভিন্ন মেসেজ দেখেও অনেক ওষুধ কিনতে শুরু করেছেন,বা জমাতে শুরু করেছেন বাড়িতে। করোনার সামান্য সমস্যা বা উপসর্গ দেখা দিলেই কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই ওষুধ সেবন করছেন অনেকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সমস্ত ঔষধ কিছু নির্দিষ্ট উপাদানে তৈরি হয়। সবার ক্ষেত্রে এর প্রভাব কখন সমান হয় না। তাই ভুল ওষুধ খেলে সমস্যা যেমন বাড়তে পারে। এমনকি তা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই চিকিৎসকের জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া দেখে বা অন্য কারো পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ গ্রহণ করুন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!