এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় ভাঙনের হাত ধরে পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

দলীয় ভাঙনের হাত ধরে পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল ছিল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। একদিকে যখন চলছে কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণ পর্ব, ঠিক অন্যদিকে তখন বিজেপির হাত থেকে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গেল তৃণমূলের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কাশীপুরে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে অর্থাৎ তৃণমূলের জয় হবার পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার পর্ব লেগেই রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের নীচু স্তর থেকে উঁচু স্তর সর্বত্র চলছে দলবদল। আর এবার এই দলবদলের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি পরিচালিত আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গেল তৃণমূলের হাতে। জানা গিয়েছে, আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন রবিবার।

কার্যত আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন গেরুয়া শিবিরে এতদিন। রবিবার দুপুরে পুরুলিয়ার কাশীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপির জ্যোতি লায়েকসহ বিজেপির অন্য দুই সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের হাতে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 16 টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে 13 টি আসন দখল করেছিল বিজেপি, দুটি আসন ছিল তৃণমূলের দখলে এবং একটি আসন ছিল সিপিএমের দখলে। এরপর বিজেপির এক সদস্যের মৃত্যু হয়। এবং আরো দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু রবিবার পঞ্চায়েত প্রধান সহ দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়। অন্যদিকে দলবদল করার পর আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোতি লায়েক জানিয়েছেন, দলে থেকে তাঁরা  কাজ করতে পারছিলেন না তাই এবার উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা স্বইচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথডরিয়া জানিয়েছেন, এই যোগদানের ফলে আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এসেছে। তাই এবার উন্নয়নের জন্য সকলে একযোগে কাজ করবে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ভয় দেখিয়ে এই যোগদান পর্ব সমাধা করেছে।

বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দাবি জানিয়েছেন, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি সদস্যদের ভয় দেখানোর কাজ নিয়মিতভাবে করে চলেছে তৃণমূল। তার ফলে বিজেপি নেতারা ভয় পেয়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পর্ব চলছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। কিন্তু তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, আখেরে লাভ হচ্ছে তৃণমূলের। গেরুয়া শিবির দখল করলেও সেই দল তাঁরা ধরে রাখতে পারছেনা। আপাতত দেখার, দলে ভাঙন আটকাতে বিজেপি নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!