এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় কর্মসূচিতে গেলে অপমানজনক কথা! অভিমানে বসে যাচ্ছে দলের বড় অংশ! ঘুম উড়ছে ঘাসফুল শিবিরের

দলীয় কর্মসূচিতে গেলে অপমানজনক কথা! অভিমানে বসে যাচ্ছে দলের বড় অংশ! ঘুম উড়ছে ঘাসফুল শিবিরের

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গ হাতছাড়া হয় রাজ্যের শাসকদলের। সেখানে ঘাঁটি গাড়ে গেরুয়া শিবির। আর তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ ফিরে পাওয়ার দিকে কড়া নজর দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যথারীতি উত্তরবঙ্গ  নিয়ে শাসকদলের তৎপরতা বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু চিন্তা ধরাচ্ছে দলের অন্দরে বেড়ে চলা ক্রমাগত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবং এই দ্বন্দ্বের কারণেই তৃণমূল শিবিরের ফাটল যে চওড়া হচ্ছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোর। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বিধানসভা ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে কিন্তু দলের অন্তর্কলহ ক্রমশ বাড়ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন কার্যত তৃণমূলের কাছে কড়া চ্যালেঞ্জ।

2016 সালে কালচিনি তে তৃণমূলের হয়ে জেতেন বিধায়ক উইলসন চম্প্রমাড়ি। পরে অবশ্য তিনি গেরুয়া শিবিরের হাত ধরেন। কিন্তু তারপরেও কালচিনিতে তৃণমূল শিবির সেভাবে সংগঠিত হতে পারছে না বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত সেখানে সমস্যা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা এবং জেলা কোঅর্ডিনেটর পাশাং লামার মধ্যে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে কালচিনিতে কিন্তু মোহন শর্মা শিবিরের লোকজনকে আর দেখা যাচ্ছেনা ময়দানে। অনেকেই বসে পড়েছেন হাত গুটিয়ে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার এসেছিলেন যুব তৃণমূল সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মোহন বসু এবং পাশাং লামা দুই তরফকেই সাথে নিয়ে বৈঠক করেন।

এবং বার্তা দেন দুজনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার। একইভাবে রাজ্য নেতৃত্বও বারবার এই দুজনকে একসাথে সমস্যার সমাধান করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও এখনো পর্যন্ত মোহন বসু এবং পাশাং লামার মধ্যে দলীয় দূরত্ব বেড়েই চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই কি কালচিনিতে তৃণমূল পিছিয়ে পড়ছে? রাজনৈতিক মহলের কিন্তু অনেকেই কালচিনি অঞ্চলে তৃণমূলের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই সামনে আনছেন। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মোহন অনুগামী অসীম মজুমদারকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে কালচিনির ব্লক সভাপতি করা হয়েছে জেলা পরিষদ সদস্য গণেশ মাহালিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাতেই মোহন বসুর ক্ষোভ আরও তুঙ্গে ওঠে বলে দাবী দলের অন্দরের অনেকেরই। পাশাপাশি মোহন গোষ্ঠীর অভিযোগ, পাশাং লামা দলের জেলা কোঅর্ডিনেটর পদে আসার পর মোহন বসু ঘনিষ্ঠ সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের পদ থেকে। তারই প্রতিবাদে অসীম মজুমদারসহ মোহন অনুগামী্দের বেশিরভাগ প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি এবং পদাধিকারীরা বসে গিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মোহন অনুগামী নেতারা বার্তা দিয়েছেন, দল তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিল, তার ওপর সেভাবে সম্মান দিচ্ছেনা। এমনকি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তাঁরা ডাক পাচ্ছেন না। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে মোহন বসু কোন জবাব দিতে রাজি হননা।

মোহন বসু ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদ সদস্যা পদ্মা রায় জানিয়েছেন, দলের কর্মসূচিতে গেলে বিভিন্ন অপমানজনক কথা শুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে দলের ব্লক সভাপতি গণেশ মাহালি জানিয়েছেন, দলে কেউ নিষ্ক্রিয় নন, সবাই দলে কাজ করছেন। কিন্তু প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জানাচ্ছেন আবার অন্য কথা। তিনি দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে দল চলছে তাতে একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতা যথেষ্ট সংকটজনক। অন্যদিকে ব্লক সভাপতি গণেশ মাহালি জানান, প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতিদের অনেকেই ব্লক কমিটিতে এসেছেন। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদারকেও দলের জেলা সহ-সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়েছে।

অন্যদিকে পাশাং লামা জানিয়েছেন, মোহন বসুর সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বন্দ্ব নেই। এ সমস্তটাই বিরোধীদের অপপ্রচার। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রান্তিক সময়ে দাঁড়িয়ে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র, তা সামলাতে না পারলে কিন্তু বড় বিপদ অপেক্ষা করে আছে রাজ্যের শাসকদলের জন্য। এমনিতেই তৃণমূল বর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দলবদলের ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ওপর যেভাবে একের পর এক জেলা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসছে তা কিন্তু তৃণমূলের ফাটল চওড়া করার সাথে সাথে একপ্রকার বিরোধীদের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির ভাষ্যকাররা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!