দলীয় সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের, জেনে নিন! উত্তরবঙ্গ রাজ্য March 16, 2020 নতুন প্রজন্ম এখন সব সময় সেলফোনেই বন্দি রয়েছে। মাঠ-ঘাট, খেলাধুলো এখন সেভাবে আর নেই। এক জায়গায় সকলে একত্রিত হয়ে থাকলেও, কথা বলা অপেক্ষা সকলেই তার মোবাইলের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। কারণ, ফেসবুক-টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি। আর সাধারণের মনে প্রবেশ করতে গেলে এবার জনসংযোগ চালানোর পাশাপাশি যে সোশ্যাল সাইটেও শক্তিশালী হতে হবে, তা অনেকদিন আগেই অনুধাবন করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফল তারা গত লোকসভা নির্বাচনে হাতেনাতে পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে প্রচার করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে যুবসমাজের ভোট নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে সফল হয়েছে গেরুয়া শিবির। যার কারণে রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে 18 টি আসন চলে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে। আর বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় শক্তিশালী হওয়ায়, সামনের বিধানসভা নির্বাচনে যাতে এই দিকটিতে বিজেপিতে টেক্কা দেওয়া যায়, তার জন্য এবার একই পদ্ধতি অবলম্বন করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অঞ্চল থেকে শুরু করে ব্লক স্তরে সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হল। যার অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায় 15 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের 15 জন তৃনমূল যুব কর্মীকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, ওই বৈঠকে প্রতিটি বুথে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী দিনে বিজেপির মোকাবিলা করা এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের এই সোশ্যাল সাইটে যুক্ত করতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে শীতলকুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণ বলেন, “আমরা দিদিকে বলো কর্মসূচির পর রাজনৈতিকভাবে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি শুরু করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের কর্মসূচি, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের জন্য আমরা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করব। ব্লকেও এই ধরনের গ্রুপ হবে। বিধানসভা ভিত্তিক একটি গ্রুপ থাকবে। এলাকায় এলাকায় গিয়ে আমাদের সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিষয়ে আমরা প্রচার করব।” সব মিলিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপিকে টেক্কা দিতে তৃণমূলের এই কর্মসূচি কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -