এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দামি গাড়ি নয়, জনতার কাছে পৌঁছতে টোটোই ভরসা হেভিওয়েট বিধায়কের, জেনে নিন!

দামি গাড়ি নয়, জনতার কাছে পৌঁছতে টোটোই ভরসা হেভিওয়েট বিধায়কের, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সামান্য পঞ্চায়েত প্রধান বা সদস্য হলেই যেখানে শাসক দলের নেতাদের দামি গাড়ি করে ঘুরতে দেখা যায়, সেখানে ব্যতিক্রম সদ্য 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করা তৃনমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। অত্যন্ত সাদামাটা মানুষ বলেই পরিচিত তিনি। একসময় রিকশা চালিয়ে দিন গুজরান করতেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বলাগড়ে তাকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধায়ক হলে যেখানে সকলকে চার চাকার গাড়ি করে ঘুরতে দেখা যায়, সেখানে কোনোরকম অহংকার না করে মানুষের কাছে পৌঁছোতে এখন টোটোই ভরসা মনোরঞ্জন বাবুর।

একসময় রিকশাচালক ছিলেন তিনি। তাই নিজের অভ্যাস পাল্টাতে পারেননি। মানুষের সুবিধার্থে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য টোটোকেই বেছে নিয়েছেন। বিধায়ক হওয়ার জন্য বিন্দুমাত্র অহংকার নেই তার। যেখানে গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দলের নানা নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, সেখানে জয়লাভ করার পর কার্যত মানুষের মনে জায়গা করে নিতে তৃণমূল বিধায়কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন ফেসবুকে নিজের টোটোতে বসা একটি ছবি পোস্ট করেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি টোটোতে করে তিনি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। আর সেই টোটোর ওপরে লেখা রয়েছে, “এমএলএ” শব্দটি। জনপ্রতিনিধিরা এখন চার চাকার উপর নির্ভরশীল হলেও, বিধায়ক হওয়ার পরে টোটো সবথেকে বড় ভরসা সাধারণ মনোরঞ্জন ব্যাপারীর।

বস্তুত, মানুষের প্রতিনিধি যিনি হবেন, তার সাদামাটাভাবেই মানুষের কাছে পৌছানো উচিত। কিন্তু কালের নিয়মে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের অহংকার তাদের পতনের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন সকলে। তবে সেদিক থেকে জয়লাভের পর তার জন্য ভূমিকায় দেখা গেল বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ককে।

কেন হঠাৎ টোটোকে বেছে নিলেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে নিজের করা ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়েই তার উত্তর দিয়েছেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে তিনি লেখেন, “আপনাদের বিধায়ক আপনাদের সেবক। এতদিনে তারা আপনাদের আশীর্বাদে ও দানে নিজের একটা বাহন হল। যে কোনোদিন কোনো সময়ে এই বাহন বিধায়ককে পৌঁছে নিয়ে যাবে আপনাদের দরজায়।”

অর্থাৎ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষের কাছে পৌঁছোতে বড় গাড়ির উপর ভরসা নয়, বরঞ্চ ছোট টোটো করেই মানুষের মুশকিল আসান করতে চান তিনি। স্বভাবতই জয়লাভের পর নেতারা কোটিপতি হয়ে যায় বলে প্রবাদ রয়েছে বাংলায়। কিন্তু সেই প্রবাদকে ভেঙে দিয়ে অন্য ভূমিকায় দেখা গেল এই তৃণমূল বিধায়ককে। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন জনতা জনার্দন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!