দাঁতন থেকে সবং – পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে শাসকদলের আক্রমনের অভিযোগ বিজেপির রাজ্য May 10, 2018 গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ের সন্ত্রাসের তান্ডব চলছে শাসকদলের। অভিযোগে সরব বিজেপি। এবার খবরের শিরোনামে দাঁতন এবং সবং এলাকা। জানা গেছে দাঁতন এলাকার সারতানগরে নির্বাচনী সভা ছিল বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের। সেই সভায় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধোর করে। এমনটাই অভিযোগে জানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকরা। দলীয় মন্ডল সভাপতি মোশাফ মল্লিক জানান, বাঁশ লাঠি সহযোগে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা মারধোর শুরু করে তাঁদের সভা ভন্ডুল করার জন্য। এতে আহত হয় বিজেপির ৪ জন প্রার্থী। তবে এ অভিযোগ স্বাভাবিকভাবে নাকচ করেন ওই এলাকার তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক বিক্রম প্রধান। তাঁর বক্তব্য, “এখানে বিজেপিই নেই,মারধর করার প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে?” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে একইভাবে ওই রাতেই সবং এর কলসবাড় গ্রামেও তৃণমূলের হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের তরফ থেকে। এলাকার বিজেপি নেতা শান্তনু সাউ অভিযোগে জানান, তাঁদের প্রার্থী ভোলানাথ ভট্টাচার্য সহ আরো কয়েকজন কর্মী জখম হন তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতিদের আক্রমণে। ভাঙচুর হয় দুটো বাড়িই। এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় থানায়। একইভাবে এই ঘটনার দায়ও এড়িয়ে গেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি। তিনি জানান, এরকম কোনো ঘটনা হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘাটাল থানা এলাকাতেও। এক বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের গোয়ালঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের আঙুল উঠল শাসকদলের দিকে। অভিযোগে বিজেপি জানায়, ওই থানা এলাকায় প্রসাদচকে বিশ্বনাথ সিং এর গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শরু করলেও তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ কুমার মাঝি বলেন,ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। অন্যদিকে ওই থানা এলাকারই মনোহরপুর বাজার এলাকাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গঠিত মহাজোটের গাড়িতে হামলা চালানো হয় পরের রাতে। এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা সৌমেন মন্ডল জানান, “আমার ওই এলাকার সমর্থন প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে অটোয় করে প্রচার করছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের গাড়ির উপর হামলা চালায়।” তবে ওই এলাকার তৃণমূলের নেতা দিবাকর সী বিজেপির বক্তব্য অস্বীকার করে জানান, “মনোহরপুর বাজারে আমাদের একটি সভা চলছিল। সেই সময় ওরা গাড়ি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিল। আমরা গাড়িটিকে থামিয়ে সভার এলাকায় প্রচার করতে নিষেধ করছিলাম মাত্র। এর বেশি কিছু হয়নি।” এভাবে যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তিতে হামলার ছবি প্রকাশ্যে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে। আপনার মতামত জানান -