এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > দারিদ্র্যের আঘাত থাকলেও আতিথিয়তায় ত্রুটি নেই বিধায়িকা চন্দনা বাউরির

দারিদ্র্যের আঘাত থাকলেও আতিথিয়তায় ত্রুটি নেই বিধায়িকা চন্দনা বাউরির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে দরিদ্র মানুষের প্রতিনিধি হয়ে যারা লড়াই করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরি। অত্যন্ত দরিদ্র তাঁর পরিবার। তাঁর স্বামী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। স্বামীর আয়ের উপর নির্ভর করে অনেক সময়ই সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মাঝে দিন মজুরের কাজে যোগ দেন চন্দনা বাউরি। এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁর সংগ্রামকে। নির্বাচনে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। বিধায়ক হবার পর পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। সংসারে দারিদ্রতা থাকলেও নিরাপত্তারক্ষীদের আতিথেয়তাতে কোনরকম কার্পণ্য রাখছেন না চন্দনা বাউরি।

অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ হলেন চন্দনা বাউরি। রাজমিস্ত্রি স্বামীর সঙ্গে কখনো কখনো দিনমজুরির কাজে যোগ দেন তিনি। নির্বাচনে জয়লাভের পর দলের নির্দেশমতো তাঁকে দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। এছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পেয়েছিলেন তিনি। রাজ্য পুলিশের এক নিরাপত্তা কর্মী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর চারজন নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে মোট ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন তাঁর নিরাপত্তায়। নিরাপত্তাকর্মীদের নিজেই রেঁধে খাওয়াচ্ছেন তিনি। নিজে মাটির বাড়িতে থাকলেও তাদের জন্যও ব্যবস্থা করেছেন পাকা ঘরের। অর্থাৎ নিরাপত্তাকর্মীদের আতিথেয়তায় কোনরকম ত্রুটি রাখছেন না তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মাটির বাড়িতে থাকেন গৃহবধূ চন্দনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে আবেদন করেছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু জানা যায়, সেখানে কিছু ভুল থাকার কারণে আবাস যোজনার টাকা তিনি পাননি। এদিকে জওয়ানদের রাখার মত ঘরের ব্যবস্থাও নেই। তাই পাশেই এক প্রতিবেশীর নির্মীয়মান বাড়িতে তিনি তাদের রাখার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু, এই বাড়িটি অসমাপ্ত, জালনা, দরজা ছিল না। তার ব্যবস্থা তিনি করেছেন। কিছুদিন আগে নিজের বাড়ির জন্য তিনি জালনা, দরজা কিনেছিলেন। সেগুলোই সেই বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কিন্তু শুধু নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিলেই সমস্যা মিটে যায় না। তাদের খাওয়ার ব্যবস্থাও যে করে দিতে হবে। সে ব্যবস্থা তাঁদের পক্ষে এখনো করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তাদের যাতে কোনরকম খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট না হয়, তাই নিজেই রান্না করে খেতে দিচ্ছেন বিধায়িকা ও তাঁর শাশুড়ি। দুজন মিলে জওয়ানদের জন্য রান্না করছেন। তাঁরা যা খান, তাই তাদের খেতে দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, তিনি বুঝতে পারছেন যে, যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে তাদের। জওয়ানরা রুটি খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু তাঁরা ভাত, মুড়ি খেয়ে থাকেন।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভোট-পরবর্তী অশান্তি দেখা দিয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়, বেছে বেছে তাদের কর্মীদের মারধর, হেনস্থা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দলের বিধায়কদের নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর দলের পক্ষ থেকে বিধায়কদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। দলের নির্দেশ মেনে নিয়েছেন চন্দনা বাউরি। নিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। সংসারে বেড়েছে সদস্য সংখ্যা। কিন্তু শত অভাব সত্ত্বেও আতিথেয়তাতে কোনরকম কার্পণ্য রাখছেন না তিনি। তাঁর এই আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!