এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাতের অন্ধকারে কলকাতার অদূরে গুলি করে খুন তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতাকে, এলাকায় চাঞ্চল্য

রাতের অন্ধকারে কলকাতার অদূরে গুলি করে খুন তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতাকে, এলাকায় চাঞ্চল্য

ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হতে হলো তৃণমূল সমর্থক নাজিরুদ্দিন সর্দার ওরফে কালোকে। সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়ার তেঁতুলবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন নাজিরুদ্দিন সর্দার । গত রবিবার তিনি কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে কাজ সেড়ে বেতবেড়িয়া স্টেশনে নেমে সেখান থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন।

জানা গেছে, এদিন তাঁর বাইকের পিছনে বসে ছিলেন তাঁরই দাদা সাহাবুদ্দিন সর্দার। এদিকে তাঁরা বাইক নিয়ে ফেরার সময় হঠাৎই তাঁদের পিছনে আরো কয়েকটি বাইক করে ধাওয়া করে ৭-৮ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীদের দল হঠাৎই খেজুরতলা মোড়ের কাছে তাঁদের ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এমনকি লাথি মেরে তিনজনকে বাইক থেকে ফেলেও দেওয়া হয়।

দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে তৃণমূলের কর্মী নাজিরুদ্দিন সর্দার দৌড়াতে শুরু করলে পেছন থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোঁড়ে। আর এই গুলিটি তাঁর ডান পায়ে লাগলে সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে হাতের কাছে নাজিরুদ্দিন সর্দারকে পেয়ে একের পর এক গুলি, তাঁকে লক্ষ্য করে চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা – বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।

এমনকি, একটি গুলি তাঁর পেট ফুঁড়ে বেরিয়েও যায়। আর, দুষ্কৃতীদের দল চলে যাওয়ার সাথে সাথে নাজিরুদ্দিন সর্দারকে নিয়ে তাঁর দাদা এবং স্থানীয়রা ক্যানিং হাসপাতালে যান। তবে চিকিৎসকরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু হঠাৎ কেন এই তৃণমূল সমর্থককে খুন হতে হল?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পুলিশের বক্তব্য, তৃণমূলের কর্মী নাজিরুদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় একাধিক খুন, ছিনতাই সহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে ক্যানিংয়ের ভলেয়াতে একটি খুনের ঘটনায় এবং ২০১৪ সালে ক্যানিংয়ের ঢোষাহাটে মনিরুল সর্দারের খুনের ঘটনাতেও অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন মৃত নাজিরুদ্দিন সর্দার। তাই পুরনো কোন শত্রুতার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

যদিও বা এখনো পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনরূপ অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কেন এইভাবে খুন করা হলো তাঁর ভাইকে? এদিন এই প্রসঙ্গে মৃত নাজিরুদ্দিনের দাদা সাহাবুদ্দিন সর্দার বলেন, “আমরা তৃনমূল করি, আমাদের কোন শত্রু নেই। কেন ভাইকে খুন করা হল জানি না। অনেক মিথ্যে অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে”।

অন্যদিকে দলের সক্রিয় কর্মী নাজিরুদ্দিনের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে আসেন ক্যানিং ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি পরেশরাম দাস। এদিন তিনি বলেন, “নাজিরুদ্দিন আমাদের দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। যারা তাকে খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত করুক”। সব মিলিয়ে এখন ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা খুনে প্রবল চাঞ্চল্য এলাকায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!