দারুন খবর! আবিষ্কার হল এমন মাস্ক যার সংস্পর্শে ভাইরাস এলেই বদলে যাবে রং! জানা যাবে মুহূর্তেই আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর June 3, 2020 বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইতিমধ্যেই। উপরন্তু এখনো পর্যন্ত ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে মানবজাতি রীতিমতো কোণঠাসা। কারণ এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে কোনো অস্ত্র মানুষের হাতে নেই। অর্থাৎ কোন প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন কোণে বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা দিনরাত এক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের। উপরন্তু করোনা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে বিভিন্ন দেশ লকডাউনকে সাথে নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিশেষ কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। তাই এবার প্রতিষেধক বা ওষুধের পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা নতুন করে মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণ আটকানোর জন্য উন্নততর মাস্ক আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, নতুন মাস্কের সংস্পর্শে যদি করোনা ভাইরাস আসে তাহলে সাথে সাথে এই মাস্ক এর রং পরিবর্তন হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এই মাস্কের সংস্পর্শে এলে করোনা জীবাণু শরীরে প্রবেশের আগেই অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের মতে, যেহেতু প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি করোনাকে ঠেকাতে, সেখানে এই মাস্ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। যেহেতু ড্রপলেট এর মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশংকা সবথেকে বেশি, সেখানে মাস্ক ব্যবহার করলে ড্রপলেট আটকানো সহজ হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত যে মাস্কগুলি ব্যবহার করা হয় তা থেকেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। তাই এবার বিজ্ঞানীরা মনোযোগ দিয়েছেন অ্যান্টিভাইরাস মাস্ক বানানোর জন্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, কেনচুকি ইউনিভার্সিটির দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে একদল বিজ্ঞানী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকানোর জন্য নতুন অ্যান্টিভাইরাস মাস্ক আবিষ্কার করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তবে জানা গেছে, বিজ্ঞানী দীপংকর ভট্টাচার্যেরও আগে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এ ব্যাপারে দেরশ হাজার ডলারের অনুদান পেয়েছে। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের মাস্ক তৈরি করতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। এই মাস্ক তৈরী করতে প্রথমে প্রোটিয়লিটিক এনজাইমের একটি স্তর লাগাতে হবে। করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে জুড়ে তাকে আলাদা করে ধ্বংস করে দেবে এই মাস্কে থাকা এনজাইম স্তর। এবং করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেই এই মাস্ক এর রং পরিবর্তিত হয়ে যাবে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রতিষেধক ও ওষুধ আবিষ্কারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উঠে পড়ে লেগেছে যেভাবে, তাতে বলা যায় করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু যতদিন না করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত মানুষকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। এবং সর্তকতা ও সাবধানতা মেনে চলতে হবে। আপাতত নতুন অ্যান্টিভাইরাস মাস্ক কিভাবে সাধারণ মানুষের উপযোগী হয়ে উঠবে, সেদিকে নজর রাখছে সারা বিশ্ব। আপনার মতামত জানান -