এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দাঁতন থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর

দাঁতন থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপিতে যোগদানের পর পশ্চিম মেদিনীপুরে আজ প্রথম সভা শুভেন্দু অধিকারীর। আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে পদযাত্রা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তাঁর জনসভা। আজ গোটা দাঁতন শহর ভরে গেছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া পোস্টার ও ব্যানারে। দাঁতন পেট্রোল পাম্প থেকে সরাই বাজার পর্যন্ত চললো শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা। এরপর জনসভা তাঁর সরাই বাজারে। পদযাত্রা ও সভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে একহাত নিলেন তিনি।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানালেন তৃণমূলে একটাই রয়েছে পোস্ট, বাকি সমস্ত ল্যাম্পপোস্ট। তিনি জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে এই রাজ্য তুলে দিতে না পারলে, এই রাজ্যকে আর বাঁচানো যাবেনা। বাংলা ও দিল্লিতে একই সরকার থাকা প্রয়োজনীয় বলে জানালেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের যে মাইনে তৃণমূল সরকার দেয়, তাতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিয়ের জন্য মেয়ে দেয় না, মেয়ের বাড়ির লোক। তিনি জানালেন যে, বিজেপি চাকরি খায় না, বিজেপি চাকরি দেয়।

নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের জয়লাভ সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, ডায়মন্ড হারবার কি করে যে তৃণমূল জয়লাভ করেছিল তা সকল রাজ্যবাসীই জানেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বুথের সামনে জেহাদিদের বসিয়ে রেখে ভোটে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, গত ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল দলের উঠে যাবার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিজেপির বদান্যতায় ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১ টা সাংসদ এসে দাঁড়ায় তৃণমূলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত মন্ত্রীই হলেন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। মাত্র ৪ জন লোকের হাতে দলের সমস্ত দায়িত্ব রাখা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তাঁরা কি তবে বানের জলে ভেসে এসেছেন? তিনি জানালেন যে এই লড়াই হলো গ্রামের সঙ্গে শহরের লড়াই। শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, তাঁকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। এখন শুধু ট্রেলার চলছে, সিনেমা এখনও বাকি আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিকে রাজ্য সরকার নিজের নামে চালাচ্ছে। তিনি এই সরকারের ভেতরে ছিলেন, এখন তাঁর ঘেন্না ধরে গেছে।

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, তৃণমূলের জনৈক সাংসদ বলেছেন যে মেদিনীপুরে জন্মায় বিশ্বাসঘাতকেরা। তিনি জানালেন মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম প্রমুখদের জন্মস্থান। তিনি জানালেন যে, বিজেপিতে যোগদানের পূর্বে তিনি মন্ত্রিসভা, বিধায়ক পদ ছেড়ে এসেছেন। তাঁর অধিকার আছে অন্য দলে যুক্ত হয়ে রাজনীতি করার। যারা মেদিনীপুরকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, তাদের জবাব দিতে চান তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল নেতারা ফোনের সুইচ অফ করে দেন। তিনি কটাক্ষ করলেন যে, ছিন্নমূল লোকেরা এখানে এসে বড় বড় কথা বলে গেছেন। লোকসভা ভোটের পর কোনো নেতাকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। সব নেতারা তখন ফোনের সুইচ অফ করে দিয়েছিলেন। তিনি জানালেন যে, আগামী ১৫ ই মে এর পর তৃণমূলের লোকেরা তাঁকেই ফোন করে বলবেন,’দাদা বাঁচান’।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!