তীব্র চাপে দাউদ ইব্রাহিম? ইডির পরের পর কঠোর পদক্ষেপে ঘুম উড়েছে অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশার? জাতীয় বিশেষ খবর November 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অপরাধ জগতে দাউদ ইব্রাহিম একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে নিজের আধিপত্য বিস্তারে সকলকেই তিনি একে একে নিজের দখলে নিয়ে আসেন বলেই এতদিন জানা গিয়েছিল বিভিন্ন তথ্য সূত্রের মাধ্যমে। তাই এত বড় ডনের সম্পত্তি নিয়ে কেউ কারসাজি করবে সেকথা সম্ভবত সাধারণ মানুষ ভেবে উঠতে পারেন না বলেই মনে করে থাকেন অনেকেই। তবে এরই মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে তার সম্পত্তি নিলামের খবর পাওয়া গেল। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রে তাঁর ৬টি সম্পত্তি মঙ্গলবার নিলাম করা হয়েছে। নিলামে ২২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২ বছর আগে দাউদের ৩ টি সম্পত্তি নিলাম হয়েছিল। এরপরে দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের ফ্ল্যাটও নিলাম হয় বলে জানা গেছে। জানা গেছে, দিল্লির আইনজীবী অজয় শ্রীবাস্তব দাউদের দুটি সম্পত্তি এবং আইনজীবী ভূপেন্দ্র ভরদ্বজ চারটি সম্পত্তি কিনেছিলেন। যার মধ্যে দাউদের ৪, ৫, ও ৮ নম্বর সম্পত্তি পড়েছে ভূপেন্দ্র কুমার ভরদ্বাজের কাছে এবং ৮ ও ৯ নম্বর সম্পত্তি গেলে আইনজীবী অজয় শ্রীবাস্তবের কাছে। তবে এর মধ্যে প্রযুক্তিগত কারণে ১০ নম্বর সম্পত্তি নিলামে রাখা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গেছে। কারণ এই সম্পত্তি চিহ্নিতকরণ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছিল বলেই জানা যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই এক্ষেত্রে মঙ্গলবার সর্বমোট ১৭ টি সম্পত্তি নিলাম হয়েছে বলে জানা গেছে। এই নিলামের তদন্তকারী কর্মকর্তা মুনাফ সৈয়দের মতে রত্নগিরিরতে দাউদের মোট ১৩ টি সম্পত্তি ছিল, যার মধ্যে এদিন ৬ টি নিলাম হয়েছে। এই সম্পত্তিগুলির মূল্য ধরা হয়েছিল প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে রত্নগিরিতে দাউদের পৈতৃক বাড়ি মাত্র ১১ লাখ ২ হাজারে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই জমিগুলির মধ্যে খেদ উপজেলার মুম্বাকে গ্রামের এক টুকরো জমি, যার বিড মূল্য ১.৩৩ লক্ষ টাকা, একটি জমি ও তার উপর নির্মিত একটি দ্বিতল বাংলো, যার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা এবং পেট্রোল পাম্পের নামে একটি জমিও নিলাম করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ইকবাল মিরচির জুহু বাংলো এবারও নিলাম করা যায়নি বলেই জানা গেছে। আর এর কারণ স্বরূপ অধিক দামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গত মাসে দাউদের সহযোগী ইকবাল মিরচির পরিবারের সদস্যদের ৭ টি সম্পত্তি সংযুক্ত করেছিল বলে জানা যায়। যার মধ্যে একটি সিনেমা হল, একটি হোটেল, একটি আন্ডার কনস্ট্রাকশন হোটেল, দুটি বাংলো এবং পাঁচগনিতে সাড়ে ৩ একর জমি ছিল। জানা গেছে চোরাকারবারি ও বৈদেশিক এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটারস অ্যাক্টের (সাফেমার) অধীনে এই নিলাম করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই এই নিলাম পরিচালিত হয়েছিল বলে জানা যায়। সেইসঙ্গে সাফেমার ৬৮ এফের অধীনে ওয়ান্টেড অপরাধী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সম্পত্তি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলেও জানান হয়েছে আপনার মতামত জানান -