এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুজোর আগেই বড় ধামাকা ইডির! দাউদ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

পুজোর আগেই বড় ধামাকা ইডির! দাউদ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অপরাধ জগতের ডন শুনলেই মনে আসে দাউদ ইব্রাহিমের কথা। বস্তুত সেই ডনের দিকে হাত বাড়ানো মানে সিংহের মুখে হাত দেওয়ার মতই কাজ। কিন্তু আইনের চোখে অপরাধী সবসময় নিচেই থাকে। আর তাকে যারা সহায়তা করে, তারাও তেমনই আইনের চোখে সমানে সমান অপরাধী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দাউদ ইব্রাহিমের নামে পুলিশের কাছে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী ইকবাল মির্চি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছিল ইডি। আর সেই খবরেই সামনে এসেছে এক নতুন তথ্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে মিরচিকে এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে তার ক্রমবর্ধমান মাদক ব্যবসায়ের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। বস্তুত, তাঁর পরিবার মূলত মরিচ এবং মশলা বিক্রি করার দোকান চালাত। আর সেই থেকেই এইভাবে তিনি ‘মিরচি’ ডাকনাম পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে তিনি নিষিদ্ধ মেথ ট্যাবলেট, হেরোইন এবং ম্যান্ড্রাক্স পাচার শুরু করেন বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুম্বাইয়ের ভারালি সমুদ্রের সম্মুখভাগে তিনি দ্য ফিশারম্যান ওয়ার্ফ নামে একটি ডিস্কের মালিক ছিলেন যা মাদকের প্রতিরোধ কেন্দ্র ছিল বলেই তথ্য সূত্রে জানা গেছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করা হয়েছিল কিন্তু তাঁকে কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়নি বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। লন্ডনে থাকাকালীন হার্ট অ্যাটাকের কারণে তিনি ২০১৩ সালে মারা যান।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সোমবার তাঁরই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জানা গেছে, ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু তাই নয়, ২২ কোটির একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও গোয়েন্দারা সিজ করেছেন বলে জানা যায়। তার মধ্যে রয়েছে, একটি সিনেমা হল, একটি খামার বাড়ি, এবং সাড়ে তিন একর জমি।

ইকবাল মির্চি কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়, এবং সেই সময় তাঁর স্ত্রী হাজরা, দুই ছেলে জুনাইদ এবং আসিফ দুবাই থেকে লন্ডনে পালিয়ে গেছে বলে ইডি কর্তাদের সন্দেহ হওয়া। অন্যদিকে জানা গেছে, মির্চি পরিবারের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। দুবাই এবং ইংল্যান্ডে তারা ব্যবসা করেন।

এই ঘটনার পর ইডি, ইকবাল মির্চির স্ত্রী ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন আদালতে জানাবে বলেও জানা গেছে। তবে এই প্রথম না, এর আগেও দুবাইয়ে একটি হোটেল সহ মির্চিদের ২০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। তবে ইডি কর্তাদের মতে এবারে মোট ৭৯৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে তাঁদের আরও কোথায় কোনো নামে নাকি বেনামে সম্পত্তি রয়েছে, তাও ইডির তরফে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!