এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > দায়িত্ব পেতেই কি স্বজনপোষণ শুরু অধীর চৌধুরীর? বিশেষ নেতাকে বিশেষ পদ দিতেই শুরু বিতর্ক!

দায়িত্ব পেতেই কি স্বজনপোষণ শুরু অধীর চৌধুরীর? বিশেষ নেতাকে বিশেষ পদ দিতেই শুরু বিতর্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অতীতে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী সময়কালে বিভিন্ন সময় তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন যে, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কংগ্রেসের স্বজনপোষণ শুরু হয়েছিল। তবে সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর যখন আবারও অধীর রঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেসের সভাপতি হলেন, তখন আশা করা হয়েছিল, এবার হয়ত সকলকে নিয়ে 2021 এর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেবেন তিনি। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠতে শুরু করল কংগ্রেসের অন্দরে।

জানা গেছে গত বুধবারে এআইসিসির তরফ থেকে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়। আর তারপরেই আগামী দিনে বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে তার বক্তব্য শুনতে পাওয়া যায়। আর এর মাঝে হঠাৎ করেই সেই অধীর চৌধুরীর নতুন কমিটি ঘিরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা গেছে, নতুন এই কমিটিতে আব্দুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তীদের মত রয়েছেন ঋজু ঘোষালের মত কংগ্রেস নেতা। একাংশের অভিযোগ, এই ঋজু ঘোষাল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী অতসী দেবীর আত্মীয়। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসে অনেক প্রবীণ নেতা থাকা সত্ত্বেও কেন ঋজুবাবুকে কমিটিতে জায়গা দিলেন অধীরবাবু, তা নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, কংগ্রেসের উপর তলা থেকে পরিবার তন্ত্র চলছে, এই অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময় হাত শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এবার যেভাবে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠতে শুরু করল, তাতে অনেকেই তাকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। কেন কংগ্রেসের অনেক নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও ঋজু ঘোষালকে কমিটিতে আনা হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “সভাপতি যাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাকেই তিনি বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। আমি হয়ত ততটা যোগ্য নই।” আর এই ঘটনাতেই অনেকের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তাহলে কংগ্রেসের অন্দরে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করেও বিদ্রোহী মনোভাব শুরু হয়ে গেল‌। অমিতাভবাবুর কথায় তার কিছুটা আভাস পাওয়া গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী যেভাবে প্রবীণ নেতৃত্বদের বাদ দিয়ে কিছুটা নতুন ঋজু ঘোষালকে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আলোচনার কমিটিতে নিলেন, তাতে শেষ পর্যন্ত সেই জোটের আলোচনা যদি ফলপ্রসূ না হয়, তাহলে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই কমিটিকে ঘিরে দলের অন্দরে তাকে ব্যাপক প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!