এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ডেডলাইন মাত্র এক সপ্তাহ! মুখ্যমন্ত্রী মমতার কড়া নির্দেশ, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ যা করতে চলেছেন

ডেডলাইন মাত্র এক সপ্তাহ! মুখ্যমন্ত্রী মমতার কড়া নির্দেশ, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ যা করতে চলেছেন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ মাস থেকে আটকে রয়েছে সারা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শেষ বর্ষের যাবতীয় পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। আদৌ কি হবে সেই নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সকলের মনে।

করোনা পরিস্থিতিতে ২৯শে এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউজিসি জানায় যে পরীক্ষা হবে না। আবার ৬ই জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে পরীক্ষা বাতিল করা যাবে না। বর্তমানে এই দুটি পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞপ্তি নিয়েই উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। আগের বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক-স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে আগের হয়ে যাওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার কথা বললেও সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে বা অফলাইনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতেই হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রভাবিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা সহ অন্য কয়েকটি রাজ্য UGC’র এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। গতকাল সেই মামলারই ফলাফলস্বরূপ বলা হয় যে পরীক্ষা নিতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে সেই কথায় এদিন শীর্ষ আদালত বলে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার অনুকূল পরিবেশ নেই মনে করলে, রাজ্য সরকার ৩০শে সেপ্টেম্বরের পরেও পরীক্ষা নিতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে রাজ্য সরকারের। তবে ইতিমধ্যেই এপ্রিল মাসে UGC’র গাইডলাইন মেনে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে দিয়েছে, সেই পড়ুয়ারা অনিশ্চয়তায় পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ওয়েবকুপার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজ্য সরকার চাইলে তারা পরীক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শ দেবে। সম্প্রতি বিদেশে করোনা পরিস্থিতিতে যেমন ‘ওপেন বুক এক্সাম’ নেওয়া হচ্ছে, তারাও UGC’র কাছে আমাদের রাজ্যে এরকম ভাবে এক্সাম নেওয়ার প্রস্তাব পাঠাতে পারে। তবে এই সমস্যা সামলাতে সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অফ এডুকেশন (ক্যাবে)-এর ফোরামে জরুরি বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। যাতে এই পরিস্থিতিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা পরিস্থিতি বিচার করে চূড়ান্ত একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন। তবে সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!