প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ততই গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এই মারন ভাইরাস। সামাজিক দূরত্ববৃদ্ধির ওপর সবথেকে বেশি জোর দিয়ে অনেক জায়গাতেই কড়া লকডাউন করা হয়েছে। বাইরে বের হলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক এখন সাধারণ মানুষের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এতসব সচেতনতা সত্ত্বেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

জানা গেছে, গত 24 ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও 7 জন ব্যক্তির। যাদের মধ্যে শিলিগুড়ির দুজন, কার্শিয়াংয়ের একজন, জলপাইগুড়ির একজন এবং আলিপুরদুয়ার জেলার তিনজন বাসিন্দা রয়েছে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি শহর উত্তরবঙ্গের চার জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 188।

আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন তৃনমূল বিধায়ক রুদ্রনাথবাবু। বর্তমানে তাকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “রুদ্রবাবুর চিকিৎসা চলছে। ওনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।”

তবে যেভাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাসের দাপট বাড়ছে, তাতে নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে যদি চলতে থাকে এবং এই মারন ভাইরাসের যদি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড়সড় সংকট দেখা দিতে পারে। তাই এখন লকডাউনকে আরও কড়াকড়ি করা ছাড়া কারোর কাছেই কোনো উপায় নেই। উত্তরবঙ্গে যেভাবে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে এখানকার পরিস্থিতি গোষ্ঠী সংক্রমনের দিকে যাচ্ছে কিনা, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।