এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > প্রধান বিচারপতির সামনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে জোরালো সওয়াল দেবাশিস শীলের

প্রধান বিচারপতির সামনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে জোরালো সওয়াল দেবাশিস শীলের


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের সামনে দাঁড়িয়ে জোরালো সওয়াল করলেন বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। এর আগে তিনি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও কনক দেবনাথের নেতৃত্ত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসাবে ব্যবহৃত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রিয়বাহিনীর দাবি জানিয়ে আসেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাঁর দাবির সঙ্গে একমত হলেও, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে জানাবেন বলে কথা দিলেও বাস্তবে কোনো সিদ্ধান্তই জানায় না। ফলে গত শুক্রবার সেই ১০ দিনের সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত তা গ্রহণ করে এবং গতকাল সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির এজলাসে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায়, নিজেই সওয়াল করেন দেবাশিসবাবু। প্রথাগত কোনো আইনি ডিগ্রি না থাকলেও তাঁর সওয়াল বেশ মন দিয়ে শোনেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং উপস্থিত সকলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তাঁর এই আবেদনের যথেষ্ট প্রশংসাও করেন। দেবাশিসবাবু নিজের যুক্তিতে বলেন, সরকারি কর্মীদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত থাকলেও তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ নন। রাজনীতিতে একদল আসে আরেকদল যায়, কিন্তু এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে যেসব নির্বাচন হয় (বিধানসভা, লোকসভা, পুরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচন) তা পরিচালনার দায়িত্ত্ব আখেরে এসে পরে সরকারি কর্মীদের উপর। অথচ স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে (পুরসভা বা পঞ্চায়েত) উপযুক্ত নিরাপত্তা না থাকায় নির্বাচনী দায়িত্ত্বে থাকা সরকারি কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে সবসময় আশঙ্কায় থাকতে হয় যে রাজনৈতিক হানাহানিতে তাঁদের হেনস্থা হতে হবে বা অনেক সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাণও দিতে হতে পারে। আর তাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রিয়বাহিনীর সুরক্ষা না পেলে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে রীতিমত ভীত, সন্ত্রস্ত। আর তাই হাজার হাজার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ও তাঁদের পরিবারের দুশ্চিন্তা কাটিয়ে, তাঁদের প্রাণ সুরক্ষিত করতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুরক্ষার ভার কেন্দ্রিয়বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেউ উপস্থিত না থাকায়, তাঁদের যথাযথ নোটিশ দিয়ে আগামী ২০ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানির আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!