এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পোলিং অফিসার -এর মৃত্যুতে আবার আদালতে সরকারি কর্মচারী পরিষদ

পোলিং অফিসার -এর মৃত্যুতে আবার আদালতে সরকারি কর্মচারী পরিষদ


পঞ্চায়েতে প্রাণ ঝরেছে অনেক। বাদ পড়লেন না সরকারি কর্মীও। করণদিঘির রহতপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়ের ১৪ মে ভোটের ডিউটি পড়েছিল ইটাহার বানবোল এফপি স্কুলে, ৪৮ নম্বর বুথে। ভোট মিটলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর পোলিং অফিসার রাজকুমারবাবুর মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জে রেললাইনের ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার ও দেহ সনাক্ত করা হয়। এদিকে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে যে ট্রেনের ধাক্কাতেই মারা গেছেন রাজকুমারবাবু। আর এই নিয়েই উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে। সরকারি কর্মী রাজকুমার রায়ের রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন ? পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে ?কে করলো খুন ? কেন খুন হতে হলো তাঁকে ?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই নিয়ে প্রিয়বন্ধুর তরফ থেকে সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল -এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জানান যে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। দেবাশীষবাবুর দাবি রাজকুমারবাবুকে খুন করা হয়েছে। আমাদের প্রিতিনিধিকে তিনি জানান যে “সরকারি কর্মচারী হওয়ার মাসুল দিতে হলো তাঁকে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে সোমবার ভোট চলাকালীন তিনি তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকে বাধা দিয়েছিলেন আর তাই রাজকুমার রায়ের কাছে হুমকি ফোন আসছিল। ফোনে তাঁকে বুথের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্ত, শত হুমকিতেও ওই সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য থেকে টলানো যায়নি। রাজকুমার রায় সাফ জানিয়ে দেন, ভোট চলাকালীন তাঁর পক্ষে বুথের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। বুথ থেকে বেরোলে দেখা নেওয়ার পালটা হুমকি দেওয়া হয়।আর তার পরেই তিনি নিখোঁজ হন আর পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।” সাথে তিনি আরো জানান যে “ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছিল, ভোটে সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। পাশাপাশি ডিউটি থাকাকালীন কোনও কর্মী নিহত কিংবা আহত হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিটিতে থাকাকালীন একটা প্রাণ চলে গেলো এর নিয়ে আদালত অবমানার দাবি তুলে এই রহস্যজনক মৃত্যুর প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন যে ” কথায় আছে মেয়েরা মায়ের জাত, একদিন তো মায়ের আসনে বসিয়ে বাংলার মানুষ তাঁকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। আজ এত যে রক্ত ঝরছে তাঁর প্রাণ এতটুকুও কাঁদছে ? তাঁর নেতা মন্ত্রীরা বলছেন যে সব ছোট ঘটনা। মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে তা নাকি ছোট ঘটনা। আর তিনি কর্নাটকে বিজেপিকে আটকাতে একবার সোনিয়া গান্ধীকে, একবার দেবগৌরাজিকে, একবার কুমারস্বামীজীকে ফোন করে সরকার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। অথচ বাংলায় তাঁর ঘরে এতো মানুষের হাহাকার ,কান্না তাঁর কান পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না। একটা শব্দ খরচ করেননি তিনি এই নিয়ে। তবে আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো ” সাথেও তিনি সরকারি কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন যে “ভায়েরা ,বোনেরা আমরা আছি আপনাদের পাশে, আপনাদের সাথে” প্রসঙ্গত ,পঞ্চায়েত ভোটে সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিজেপির কর্মচারী পরিষদ – এর দেবাশীষ শীল-ই প্রথম কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!