অপেক্ষা আর আতঙ্কের অবসান? ডিসেম্বরেই ভারতে ১০ কোটি করোনা ভ্যাক্সিনের ডোজ আনছে সিরাম! অন্যান্য জাতীয় বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য October 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে হাজির হলো সুখবর। এতদিন অপেক্ষার পর এবার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট সুখবর শোনাচ্ছে ভ্যাকসিন নিয়ে। সম্ভবত এই বছরেই তাই বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। বস্তুত, এত অপেক্ষার পর এই সুখবরের জন্যই হয়ত দিন গুনছিলেন বিশ্ববাসী। এদিন সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধারের কথায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের অক্সফোর্ড প্রতিষেধক টিকার প্রথম পর্যায়ের সাপ্লাই চলতি বছরের ডিসেম্বরেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ভারতীয় নির্মাতা হিসেবে সিরাম ইনস্টিটিউটই সামনে এসেছে। সেইসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের এগজিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত সূচি বিষয়ক আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচের ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের ১০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপন্ন করা হবে বলে জানা গেছে। তবে এই ভ্যাকসিন কিন্তু সরবরাহের প্রস্তুতি আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিরাম কর্তা। এক্ষেত্রে জানা গেছে, করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ হবে। যেখানে প্রথমটির সঙ্গে পরের ডোজটির সময়ের পার্থক্য হবে ২৮ দিনের। তবে বিষযটি চূড়ান্ত করতে এই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের মানব শরীরে শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পর্কিত রিপোর্টের বিস্তারিত তথ্য আগামী মাসেই ব্রিটেনে প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ভারতীয় নির্মাতা হিসেবে সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন উৎপাদনে অগ্রসর হতে পারবে বলে জানা গেছে।তবে তার আগে অবশ্য সিরাম ইনস্টিটিউটকে ভারতীয় ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জরুরিভিত্তিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। বস্তুত, যেকোনো পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, সেই কারণেই বিভিন্ন দেশ এই ইমার্জেন্সি লাইসেন্স ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই আমেরিকার ফাইজার সংস্থা ডিসেম্বর মাসেই ইমার্জেন্সি লাইসেন্স পেয়ে যাবে বলেও আশা করছে। আর ডিসেম্বর মাসে জরুরিকালীন ভিত্তিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরই ফাইজার ও মডার্না সংস্থা ভ্যাকসিনের সরবরাহ শুরু করবে বলে জানা গেছে। আর সেই একইভাবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও কাজ করবে বলেই জানা গেছে। এদিন সিরাম কর্তার কথায়, ডিসেম্বর মাসে ভারতবাসীর জন্য ভ্যাকসিন তৈরি এবং তারপর সাধারণ মানুষের উপর ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করার এই সমস্ত প্রক্রিয়াটাই নির্ভর করছে দু’টি শর্তের উপর। প্রথমত:– ইমার্জেন্সি লাইসেন্স দিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া কতদিন সময় নেবে। কারণ সেই কাজটা যত তাড়াতাড়ি হবে, ভ্যাকসিন উৎপাদন বা বন্টনও সেই মতই এগোবে। দ্বিতীয়ত:- ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রিপোর্টের বিস্তারিত ডেটা যতটা ত্রুটিহীন হবে, ভ্যাকসিন নিয়ে ততটাই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই দু’টি ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে বলেই আশা করেছেন সকলে। অর্থাৎ ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের ডেটায় কোনও জটিলতা এখনও পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী মাসের ডেটা রিপোর্ট প্রকাশ যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর কথায় ভারত সরকার নিজেই চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন বাজারে আসুক। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট পেতে অন্তত এক-দেড় বছর সময় লেগে যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -