এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আবারও শরিক সংকটে বিজেপি, চাপ ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের

দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আবারও শরিক সংকটে বিজেপি, চাপ ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের

মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানার পর এবার সামনে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছেন আগামী 8 ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিন এবং ফল ঘোষণা হবে 11 ই ফেব্রুয়ারি। এবার দিল্লি বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নামতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য রাজনৈতিক দলগুলি। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দিল্লীর মসনদ দখল করলেও এখনো পর্যন্ত দিল্লি বিধানসভা নিজেদের আয়ত্বে আনতে পারেনি তাঁরা। তাই এবার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপি মরিয়া হয়ে দিল্লি দখলে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই এবার বিজেপি আবারো একবার জোট সমস্যা নিয়ে রীতিমতো সংকটে।

যেখানে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজধানী দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার আগে এখনো পর্যন্ত জোট সংকট বিজেপি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আসন বন্টন সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপির দুই জোট সঙ্গী শিরোমণি আকালি দল এবং জননায়ক জনতা পার্টির সঙ্গে সংঘাত চূড়ান্ত। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শেষ পর্যন্ত যদি এই দুই শরিক দল দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আলাদা লড়াই করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু যদি এই লড়াই হয়, তাহলে অবশ্যম্ভাবি বিজেপি বিপদে পড়বে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায়।

2015 সালে 70 আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় শিরোমণি আকালি দলের সঙ্গে জোট গড়ে পদ্ম শিবির লড়াই করেছিল। চারটি আসনে লড়েছিল শিরোমণি আকালি দল যার একটিও তাঁরা জেতেনি। কিন্তু তা সত্বেও তাঁরা এবার পাঁচটি আসনে লড়তে চাইছে। যদিও তাঁদের এই দাবি নিয়ে বিজেপি শিবির বিশেষ চিন্তিত নয়। কারণ, তাঁদের মতে এখনো সময় আছে আলোচনার। রফা সূত্র আলোচনার মাধ্যমেই বেরোবে। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবির সবথেকে বেশি চাপে রয়েছে জননায়ক জনতা পার্টিকে নিয়ে। কারণ হরিয়ানাতে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি জে জে পির সমর্থনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে দুষ্মন্ত চৌতালার প্রভাব অনেক বেশি। আর সেই সুযোগ নিয়ে এবার দুষ্মন্ত চৌতালা কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবিরের কাছে অনেক বেশি আসন দাবি করেছে। জানা গেছে, হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী অন্তত 12 টি আসন ছাড়ার কথা বলেছেন বিজেপিকে। যদিও দিল্লিতে শিরোমণি আকালি দল কিংবা জেজেপি কেউই সে অর্থে প্রভাবশালী নয়। কিন্তু আসন সমঝোতার প্রস্তাব যদি না মানা হয়, তাহলে খুব সম্ভব এই দুটি দল নিজেরা লড়বে। আর তাহলে অসুবিধায় পড়বে বিজেপি। কারণ সে ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সুবিধা হবে আম আদমি পার্টির। কারণ ভোট কাটাকাটিতে তাঁদের দলের ভোট বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।

অতএব জেজেপি দল যেভাবে হয় 12 টি আসন, নাহলে একলা চলোর দাবি নিয়ে এগোচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব যথেষ্ট চিন্তায়। অন্যদিকে, দিল্লিতে যদি জোট না হয় তাহলে হরিয়ানাতে বিজেপি বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে রাজনৈতিক মহল। একইভাবে কংগ্রেসও এবার জোট সঙ্কটে জর্জরিত। বিহারে কংগ্রেসের জোট সঙ্গী হচ্ছে আরজেডি। কিন্তু এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি দাবি তুলেছে, দিল্লিতে প্রচুর বিহারীর বাস। তাই সেখানে তাঁদের লড়তে দিতে হবে, এবং অন্তত 8-10 টি আসন তাঁদের জন্য ছাড়তে হবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের ভেতরের খবর, তাঁরা কোনমতেই আরজেডিকে 2 থেকে পাঁচটি আসনের বেশি ছাড়বে না। এই অবস্থায় যথারীতি আবারও সুবিধা হবে আম আদমি পার্টির। ইতিমধ্যে আম আদমি পার্টি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বেশকিছু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছে। সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে এই মুহূর্তে দিল্লী সরগরম।

ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জনমত দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ঠিক সেই সময় দিল্লি বিধানসভা ভোটের ঘোষণা অন্য কোন বার্তা নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের মতে, সারাদেশে যেভাবে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছে নাগরিকত্ব ইস্যুতে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আপাতত দিল্লি বিধানসভার দখল নিতে বিজেপি মরিয়া হয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে অবতরণ করেছে। সমস্ত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!