এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্যে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দিল্লি

ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্যে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দিল্লি

সময় পাল্টাচ্ছে – তাই বদলানো সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রথাগত নিয়মেও পরিবর্তন আনা দরকার। সেটা বুঝেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ কর্মচারীদের কাজ করার ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আগ্রাহী কেন্দ্র। রাজ্য ভেদে পৃথক সমস্যার প্রকৃতিগুলো বিশ্লেষণ করে তার জন্যে পৃথক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এনে বদল আনতে মরিয়া মোদি-সরকার।

আর সেজন্যেই পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমানো, অবস্থান-বিক্ষোভ বা ধর্নার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দূর্বল শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে নানান সমস্যার প্রেক্ষিতে সিস্টেমেক আরো উন্নত করতে রাজ্যের সমস্ত পদস্ত পুলিশ কর্তাদের মতামত চাইছে দিল্লি। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণ করার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মোদীর পরামর্শ মতোই পদক্ষেপ নিলেন দিল্লির সাউথ ব্লকের কর্তারা।

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোকে উক্ত বিষয়ে লিখিতভাবে বক্তব্য জানাতে বলে দিল্লি থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রের। চিঠিতে পুলিশের আচরণ, পুলিশ সম্পর্কে জনগনের ধারনা, স্মার্ট সিটিতে পুলিশের ভূমিকা ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সহ ১১ টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। এই সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জেলার পুলিশ সুপার, ডিআইজি, এডিজি, ডিজি পদমর্যাদার অফিসারদের মতামত লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রথমে তাঁদের মতামত জমা পড়বে রাজ্য সরকারের দপ্তরে। সেখান থেকে ওগুলো একত্রিত হয়ে দিল্লিতে পাঠাবে রাজ্য। তারপর সমস্ত রাজ্যের বক্তব্য বিশ্লেষণ করবেন কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্তারা। কোন কোন রাজ্যের সমস্যার প্রকৃতিগত মিল রয়েছে সেগুলো খুঁটিয়ে দেখা হবে। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। দিল্লির প্রশাসনিক কর্তারা মনে করেছেন, যুগ-যুগান্ত ধরে প্রথাগত একই ধারনা নিয়ে আটকে পড়ে থাকলে সাইবার যুগে ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে যেকোনো জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভের চরিত্র ছিল একরকম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন এগুলোর প্রকৃতি পাল্টেছে।

আন্দোলন হিংসাত্মক হচ্ছে বেশীরভাগ জায়গায়। আর এই হিংসার শিকার অনেক জায়গায় পুলিশ কর্মীরাই হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা চূড়ান্ত অবনতি হচ্ছে। এগুলো দ্রুত রোখা প্রয়োজন। আর পুলিশের সঙ্গে আমজনতার সম্পর্ক আরো বন্ধুত্বপূর্ণ করে তোলায় প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। সবমিলিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সিস্টেমটাকেই বদলে ফেলতে হবে যুগের প্রয়োজনে। আর সেটা করতেই নয়া উদ্যোগ নিল মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই দিল্লি কর্তাদের নির্দেশ রাজ্যের পদস্থ কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিস্টেমকে উন্নত করার স্বার্থে তাদের বক্তব্য জানতে বলা হয়েছে,এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রের খবরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!