এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সংসদে প্রতিবাদে সামিল বিরোধী দলগুলি

দিল্লি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সংসদে প্রতিবাদে সামিল বিরোধী দলগুলি

সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভালোমতন বেগ পেতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে যে হিংসার ছবি দেখলো গোটা দেশ, তা নিয়ে আতঙ্কিত সবাই। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল পরবর্তীতে তা রীতিমতো সাম্প্রদায়িক হিংসার আকার ধারণ করেছে। তবে রাজধানীর হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে ব্যর্থ, সে দাবি তোলা শুরু করছে এবার বিরোধী দলগুলি। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংসদের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ চত্বরে মৌন প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন।

এদিন উত্তর দিল্লির হিংসা কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ চত্বরে মৌন প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন কল্যাণ ব্যানার্জি, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন ব্যানার্জি, সুখেন্দু শেখর রায়, মহুয়া মৈত্র প্রমুখরা। এদের প্রত্যেকেরই চোখে ছিল কালো পট্টি এবং মুখে ছিল আঙ্গুল। এদিন এই প্রতিবাদ সমাবেশের পর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, “আমরা প্রতিবাদের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছি দিল্লিতে যা ঘটেছে তা নিয়ে কেন্দ্র সরকার অন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি পুলিশও অন্ধের মত কাজ করেছে। আমরা প্রতিবাদমুখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছি সরকারের যখন মুখ খোলা উচিত, তখন তারা নিশ্চুপ। ”

উত্তর দিল্লির হিংসা পরিস্থিতি চলাকালীন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপহার হিসেবে দেন মহাত্মা গান্ধীর বাণী সমৃদ্ধ সেই তিন বাঁদরের প্রতীকী মূর্তি। এদিন মহাত্মা গান্ধীর বাণী ‘খারাপ দেখব না খারাপ বলব না এবং খারাপ শুনবো না’ কে অবলম্বন করে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তাঁরা নিজেদের চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে এবং মুখে আঙ্গুল দিয়ে মৌনব্রত ধারণ করে বিক্ষোভে সামিল হন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই বিক্ষোভে যোগ দেন আপ সাংসদরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, গত 28 শে ফেব্রুয়ারী বিহারের বাল্মিকী নগরের জেডিইউ-এর সাংসদ বৈদ্যনাথ প্রসাদ মাহাতোর মৃত্যুতে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সংসদের দুই কক্ষ মুলতবি হয়ে যায়। দুপুর দুটো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি হলেও চূড়ান্ত হৈ হট্টগোলের ফলে রাজ্যসভার কাজও মুলতবি হয়ে যায়। তারপর কংগ্রেস সাংসদরাও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হন সংসদ চত্বরে। এদিন দিল্লির হিংসায় কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানায় কংগ্রেস সাংসদরা। এই দাবি জানানোর জন্যই প্রতিবাদ শুরু হয়। এদিন প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন অধীর চৌধুরী, শশী থারুর সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুধে বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

সম্প্রতি দিল্লির পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে 144 ধারা জারি করা হলেও পরিস্থিতি কোনোমতেই নিয়ন্ত্রণে আসছিলনা। ইতিমধ্যে সংঘর্ষের ফলে প্রায় 23 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। দিল্লির পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পূর্বেই। তবে উত্তর দিল্লির এই সংঘর্ষ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। তার সাথে কেন্দ্রীয় বিজেপির শিবিরের বিরুদ্ধে এবার তুমুল আন্দোলন শুরু করতে চলেছে অন্যান্য বিরোধী শক্তিগুলি। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!