এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিল্লি সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতির

দিল্লি সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতির

জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। তাতে একাধিক মানুষ প্রাণও হারিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ কর্নাটকের মতন রাজ্যের বিজেপি সরকার। কিন্তু তা সত্বেও প্রতিবাদ থামেনি। বিশেষত রাজধানীর বুকে চলতে থাকা শাহীনবাগের আন্দোলন ক্রমশ অস্বস্তি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই জট খোলার আগেই নতুন করে হিংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো দিল্লির উত্তর-পূর্ব অংশ জুড়ে। তবে অশান্তির গতিপ্রকৃতি দেখে বোঝাই যাচ্ছে সিএএ এর আন্দোলন ক্রমশ সাম্প্রদায়িক হিংসার আকার ধারণ করেছে।

অন্যদিকে, যে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিল্লিতে হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে, সেই সময় থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে দিল্লিতে। প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যেখানে দিল্লি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ছিল 13, বুধবার সকাল হতে না হতেই সেই সংখ্যা পৌঁছে গেছে আঠারোতে। তার সাথে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে দিল্লি সংঘর্ষে আহত প্রায় 200 রও বেশি মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পথে নেমেছে আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুরুতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে প্রবল গন্ডগোল শুরু হয় রবিবার রাত থেকেই। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, ততই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সংঘর্ষ আগ্নেয়গিরির আকার ধারণ করে ফেটে পড়েছে। রাজ্যের উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুহুর্তের মধ্যে গন্ডগোল ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একে অপরের দিকে লাঠি, লোহার রড নিয়ে তেড়ে যায়। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাইক, স্কুটি, সাইকেল এর উপর। এর মধ্যেই চলে টায়ার জ্বালানো। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট 13 জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মঙ্গলবার সারাদিনের অশান্তির পর সন্ধ্যাবেলা নতুন করে আবারও অশান্ত হয়ে ওঠে দিল্লির চাঁদবাঁক এলাকা। দুই পক্ষের লড়াই প্রাণহানিকর হয়ে ওঠে। এলাকার একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যে দিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, কারাওয়াল নগরে 144 ধারা জারি করেছে প্রশাসন। দিল্লি সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে এরই মধ্যে দিল্লির সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি মন্তব্য করেছেন, ‘গন্ডগোল যারা করছে তাদের কি চা খাওয়ানো উচিত?’ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এর বিরোধীদের প্রবল কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যারা পুলিশকে পাথর মারছে, গুলি মারছে, তাদের কি ডেকে চা খাওয়ানো উচিত ছিল? দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যা করা উচিত দিল্লি পুলিশ সেই আচরণই করেছে।’

ইতিমধ্যেই দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন দফায় দফায়। অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই অশান্তি থামাতে সেনা নামানোর দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দিল্লির পথে যদি সেনা বাহিনী নামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাহলে সোজাসুজি অভিযোগ উঠবে দিল্লি পুলিশ পুরোপুরি ব্যর্থ। তার দায় পড়বে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওপর। তাই এই মুহূর্তে দিল্লির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আধাসেনা আরো বেশি পরিমাণে নামানোর কথা ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!