প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেরুয়া শিবিরের একাংশ মুকুল রায় চলে যাবার জন্য ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেয় রাজ্যের অন্যতম বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে। এমনকি হেস্টিংসের বাইরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে বড় কাটআউট পর্যন্ত দেখা যায়। কিন্তু কোন কিছু নিয়েই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এতদিন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এমনকি কিছুদিন আগে একটি ভার্চুয়াল মিটিং ছাড়া কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে দেখাও যায়নি। কিন্তু বিজেপি সাংসদরা যখন দিল্লিতে মিটিং করছেন কনস্টিটিউশন হলে, ঠিক সেসময় কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সেই বৈঠকে প্রবেশ করেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলার বিজেপি সাংসদদের বৈঠকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিজেপির। কার্যত অনেকেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই নিয়ে বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, দিল্লির বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে ছিলেন বাংলার দায়িত্বে থাকা অন্য দুই নেতা শিবপ্রকাশ এবং অমিত মালব্য। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ওই বৈঠকে থাকার কোনো কথা ছিলনা। কিন্তু তিনি হঠাৎই এসে গিয়েছিলেন। কার্যত বাংলায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সবথেকে ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন মুকুল রায়। তিনি তাঁর পুরোনো দলে যখন ফিরে গিয়েছেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

ভোটের পর থেকে রাজ্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ের মতন অনেকেই প্রকাশ্যেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে রীতিমত তুলোধোনা করেছেন। দল হেরে যাবার পর পালিয়ে গেছেন বলেও কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে শুনতে হয়েছে। কার্যত শোনা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির একাধিক নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট বিরক্ত। আর কৈলাস নিজেও সেকথা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন। যার ফলে তিনি কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত রাজ্য বিজেপি যখন আবার নতুন করে শুরু করতে চলেছে, ঠিক সেই সময় আবারও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রবেশ যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য এবং ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপাতত জানা যাচ্ছে, কৈলাসের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বাংলায় তিনটি রাজনৈতিক যাত্রা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। এছাড়াও রাজনৈতিক হিংসার কারণে যেসব কর্মীরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বাড়িতেও এবার দেখা করতে যাবেন রাজ্য বিজেপি নেতারা বলে শোনা যাচ্ছে। তবে দিল্লির বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিতি খুব স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। কার্যত পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় দিল্লিতে বাংলার বিজেপি সংসদের বৈঠকে থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কতখানি বজায় রয়েছে, সেটাই মেপে নিতে চাইলেন।