এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লীতে ডাক পড়ল মুকুল-দিলীপের, নতুন পরিকল্পনায় সেজে এবার আসরে নামতে চলেছে বিজেপি

দিল্লীতে ডাক পড়ল মুকুল-দিলীপের, নতুন পরিকল্পনায় সেজে এবার আসরে নামতে চলেছে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার দরজায় রীতিমতো কড়া নাড়ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকে নজর রেখে ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে তৎপরতা শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। তবে একটা কথা বলা যেতে পারে নির্দ্বিধায়। বর্তমানে বাংলার দুই প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। বাংলার মসনদ দখলে অন্যতম দাবিদার যেমন হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির, ঠিক তেমনি বাংলার মসনদের অধিকার ছাড়তে নারাজ রাজ্যের শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল। আর এবার তৃণমূলকে আটকানোর ব্লু প্রিন্ট বানাতে রাতারাতি দিল্লী তলব রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার।

যথারীতি বাংলার আসন দখল করতে ইতিমধ্যেই দুশো আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বাংলায় আনাগোনা বেড়ে গেছে। আর এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়কে। প্রসঙ্গত জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে আসতে চলেছেন এবং তিনি রাজ্যে এসে  সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই এইসব কিছু আলোচনার জন্যই দিল্লি তলব রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তবে এই বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থাকবেন কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরসূচী হতে চলেছে বাংলায় আগামী 30 শে জানুয়ারি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবারের বাংলা সফরে পা দিতে চলেছেন বনগাঁর মতুয়া অঞ্চলে। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

কারণ, লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ তুলে ধরে মতুয়াদের ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পাশাপাশি অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, করোনার টিকা দেওয়ার পরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রাজ্যে টিকা তো এসে গেছে। তাহলে কি এবার রাজ্য জুড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হতে চলেছে নাগরিকত্ব আইন? সব মিলিয়ে রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলায় রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে। আপাতত দেখার, বাংলার গেরুয়া সংগঠন আরো পোক্ত করতে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় দিল্লির বৈঠকে!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!