এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শীত এসে গেলেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, আতঙ্কিত পুর-বাসিন্দাদের গন-স্বাক্ষর অভিযান

শীত এসে গেলেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, আতঙ্কিত পুর-বাসিন্দাদের গন-স্বাক্ষর অভিযান

বর্ষা বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। ইতিমধ্যেই জেলায় হাল্কা শীতের আমেজ এসেছে। কিন্তু বিদায় নেয় নি জ্বর। শীতের এই মরশুমেও উত্তরপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি জায়গায় জ্বর ও ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমশ বাড়ায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এই ডেঙ্গু নিয়ে পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন।

তাঁদের অভিযোগ, এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। বারবার পুরসভাকে এ বিষয়টি জানানোর পরেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।আর তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন।

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে থেকেই ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় জ্বর ও ডেঙ্গু থাবা বসালে পুরসভার তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু, বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পুরসভা পুরসভার গাঢিলেমি শুরু হয়। ক্রমশ কমতে থাকে নজরদারি। আর তার জেরেই পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনারায়ণ রায় রোড এলাকায় ফের থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি। এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত সিংহ বলেন, “কমবেশি এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। বেশ কয়েক জনের রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর নমুনা মিলেছে।

তাই এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। মশার দাপট থেকে বাঁচতে জানালা দরজায় লাগানো হয়েছে নেট। নেট লাগানোর পাশাপাশি অনেকেই ভয়ে দিনের বেলাতেও ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখছেন।এমনকি ডেঙ্গু আতঙ্কে আত্মীয়-পরিজনরা বাড়িতে আসতে চাইছেন না। পুরসভা মাঝে মধ্যে মশার তেল ছেটাচ্ছে বা কামান দাগছে। কিন্তু, অধিকাংশ ড্রেন ঢাকা থাকায় সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে না। ওই সমস্ত ড্রেন ও পাশে থাকা একটি ডোবা এই এলাকায় মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।”

জয়ন্তবাবুর পাশাপাশি স্কুল শিক্ষিকা শ্রেয়া দে নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, “গত বছর আমাদের এলাকায় ডেঙ্গু মারাত্মক আকার নিয়েছিল। আমারও ডেঙ্গু হয়েছিল। এবারও আমার মা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাই আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ে অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছি। শুধু আমার বাড়ি নয়, আশপাশের প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে ভুগছে। এলাকায় জ্বরের প্রকোপের কথা আমরা স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুরসভাকে জানিয়েছি। কিন্তু, তারপরেও পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। ”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শিবনারায়ণ রোড এলাকার আরেক বাসিন্দা সমর সিংহ বলেন, “দিন দশেক ধরে আমাদের এলাকায় জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দিনের পর দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ডেঙ্গু মোকাবিলায় তেল ছিটিয়েই দায় সারছে পুরসভা। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আমরা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গণস্বাক্ষর সংগ্রহের পর তা পুরসভায় জমা দিয়ে আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছি। ”

অন্যদিকে,বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারা বছর ধরেই প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা কাজ করছি। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনারায়ণ রোডে ডেঙ্গুর খবর পাওয়ার পরেই আমরা মশার তেল স্প্রে ও কামান দাগার ব্যবস্থা করেছি। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় দু’একদিনের মধ্যেই বিশেষ সাফাই অভিযান চালানো হবে।”গণস্বাক্ষর জমা দেওয়ার পর পুরসভা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কতটা সক্রিয় হয়ে ওঠে এখন বাসিন্দাদের মধ্যে সেটাই প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!