এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শহরে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, গুরুত্ত্বপূর্ন বৈঠক ডাকলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

শহরে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, গুরুত্ত্বপূর্ন বৈঠক ডাকলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম


ডেঙ্গু দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিধাননগরে। বর্ষা রাজ্য থেকে ফিরে যাওয়ার মরশুমেই হঠাৎই শহরে এই মশাবাহিত অসুখটি চাঙ্গা হয়ে উঠল। চিনার পার্ক, আটঘরা, দশদ্রোণ, কেষ্টপুর, দত্তাবাদ, নয়াপট্টি, সল্টলেকের বিএল ব্লক সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে এনএস ১ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা এ মাসে বেড়েছে। চলতি মাসে হঠাৎ এনএস১ পজিটিভ রোগী বেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট পেয়ে আরও নড়েচড়ে বসেছে পুর কর্তৃপক্ষ।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আটঘরা-দশদ্রোণ এলাকায় ৬ জন, কেষ্টপুরে ৫ জন, সল্টলেকের বিএল ব্লকে ৩ জন, দত্তাবাদে ২ জন রোগীর রক্তে নতুন করে এনএস ১ পজিটিভ মিলেছে। শুধু বিধানগর পুরসভাই নয়,উওর দমদম,ভাটপাড়া সহ বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকাতেই এ মাসপ এসএস১ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এমনটাই দাবী করছে পুরসভা সূত্রের খবর। এনএস১ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা কর্তপক্ষ। তবে এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি কারো।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানিয়েছেন ,আগষ্টে এনএস১ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়লেও গতবছরের তুলনায় সংখ্যাটা কম। গতবছর আগষ্টে এই সংখ্যাটা ছিল ২৩৯। এ নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলই আশ্বাস দিলেন তিনি। তবে উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রক্ত রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি বেড়েছিল। ১২৬৪ জন ছিলেন আক্রান্তদের তালিকায়। এমনটাই বলছে পুরসভার নথি। ফলত এ মাসে এনএস১ পজেটিভ  রোগীর সংখ্যার ক্রমশ বাড়তে থাকায় পরের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটাই চিন্তার কারণ হয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষের।

এদিকে গত বছর ডেঙ্গু প্রকোপের নজির দেখেই এ বছরে বর্ষা শুরুর থেকেই সতর্ক ছিল বিধাননগর পুরসভা। দফায় দফায় মশার তেল ছড়ানো,ডেঙ্গু দমনে কার্যকারী সতর্কতা প্রচার সহ একাধিক ব্যাবস্থা নিয়েছেন আধিকারিকরা। এ কিছু করা সত্ত্বেও এনএস১ পজেটিভ রোগীদের সংখ্যা এ মাসে বৃদ্ধি পাওয়া জেরে বাড়তি সতর্ক হয়ে গেল বিধাননগর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে উক্ত ইস্যুতে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুরসভার নির্দিষ্ট ১০ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের ডেকে পাঠিয়েছেন।

উল্লেখ্য,এই ১০ টি ওয়ার্ডেই গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্যা বেশি ছিল। আজ এই বিষয়ে সরাসরি এদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মন্ত্রী। সতর্ক করেছেন পুরসভা চেয়ারম্যানদেরও। বলা হয়েছে ডেঙ্গু দমনে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ অবিলম্বে না নেওয়া হয় পুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শাস্তি পাওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। এর পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে,বিধাননগর পুর এলাকায় থাকা বিভিন্ন সরকারি জমি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা এবং তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় সেখানে মশার তেল ছড়াতে পারেনি বা পরিষ্কারও করতে পারেনি পুরসভার কর্মীরা। সেসব জায়গা অপরিচ্ছন্ন হয়ে আগাছায় ভরে রয়েছে,একইসঙ্গে সেখানে জমা জল থাকার সম্ভাবনাও করা হচ্ছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজ্য সরকারের পুর দপ্তর বিধাননগর পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে এসব জমিগুলি পরিষ্কার করতে। এবং এটাও জানিয়েছেন এ ব্যাপারে সমস্ত খরচা দেওয়া হবে পুর দপ্তরের কোষাগার থেকে। এসব সরকারি জমিকে পরিষ্কার করবে বলেই জানিয়েছে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পরিষদ। ওই সংশ্লিষ্ট ১০ টি ওয়ার্ডেই এরকম সরকারি জমি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুরসভা সূত্র থেকে। সব মিলিয়ে শ’ খানেক জমি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যাটস কত সেটা জানার জন্যই প্রত্যেক কাউন্সিলারের কাছে তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!