এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়েও এবার তৃণমূল-বিজেপির সম্মুখসমর শুরু

ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়েও এবার তৃণমূল-বিজেপির সম্মুখসমর শুরু


অতীতের বর্ষাকাল পড়লেই ডেঙ্গুর প্রকোপে আতঙ্কিত থাকতে দেখা যেত সাধারণ মানুষকে। সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা শিবির করা হলেও রোগগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা কোনো অংশে কমত না। যা নিয়ে মাঝেমধ্যেই শাসক-বিরোধী তরজা দেখতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। আর এবার কামারহাটি এলাকায় ডেঙ্গুতে এক মহিলার মৃত্যুর পরেই সেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল তীব্র চাপানউতোর শুরু হল।

তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রেলের অনুমতি না মেলায় এলাকা পরিষ্কার করতে পারা যাচ্ছে না। তবে পুরসভা ডেঙ্গু প্রতিরোধের অভিযানেই নামছে না বলে পাল্টা সরব হচ্ছে গেরুয়া শিবির। বস্তুত, বুধবার কামারহাটি পুরসভার তরফে দক্ষিণেশ্বর রেলওয়ে কোয়ার্টার্সে এলাকায় ডেঙ্গু অভিযানে নামা হয়। আর সেখানেই পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখতে পান যে, এলাকায় প্রচুর জল জমে রয়েছে। সাধারনত জঙ্গল এলাকা মশার আঁতুড় ঘর।

যার জন্য এই এলাকায় ১০ জনের বেশি অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, রেলওয়ে কোয়ার্টার্সে ও তার সন্নিহিত বস্তি এলাকা রেলদপ্তরের। সেখানে জমা জল ও জঙ্গল পরিষ্কারের জন্য রেলদপ্তরের কাছে অনুমতি চেয়েছিল পুরসভা। কিন্তু রেলের তরফে অনুমতি না মেলায় এলাকা পরিষ্কার করতে পারেনি। এমনকি রেল দপ্তরও অভিযানে নামেনি। ফলে কার্যত অসহায় থাকতেই দেখা গেছে পুরসভাকে। তবে পৌরসভা এই ব্যাপারে রেলের ঘাড়ে দোষ চাপালেও তা নিয়ে পাল্টা পৌরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা সুপ্রিয় ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “এই এলাকায় পুরসভা ডেঙ্গু অভিযানে নামেইনি। মিথ্যে দোষারোপ করছে রেলের বিরুদ্ধে। পুরসভা আগেভাগে ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখানকার বাসিন্দার মৃত্যু হত না। এই এলাকার অনেকে জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযানে টাকার খরচ খাতায়-কলমে দেখানো হয়। কিন্তু সঠিক কাজে সেই টাকা খরচ হয় না। ওই টাকা চলে যায় নেতাদের পকেটে।” বিজেপি নেতার এই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছেন কামারহাটি পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের পুর পারিষদ বিমল সাহা।

এদিন তিনি বলেন, “এক মহিলার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কয়েকজন। রেলওয়ে কোয়ার্টার্স এলাকায় মশার আঁতুড় ঘর হয়ে রয়েছে। মশার লার্ভা রয়েছে। সেখান থেকেই ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। রেলদপ্তরকে আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তার উত্তর মেলেনি।” সত্যিই কি তাই? পুরসভার তরফ থেকে কি তাহলে রেলকে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও রেল তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি?

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “পুরসভা চিঠি দিয়ে থাকলে, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” সব মিলিয়ে শাসক-বিরোধী তরজায় ডেঙ্গু ইস্যু উঠে আসলেও হাতে হাত ধরে সেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে এখন শাসক-বিরোধী নেতারা ঠিক কতটা একযোগে ময়দানে নামেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!