এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশবাসী কি এবার ভরসা হারাচ্ছেন মোদী ম্যাজিকে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

দেশবাসী কি এবার ভরসা হারাচ্ছেন মোদী ম্যাজিকে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ 2022 এর লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে গেরুয়া শিবির চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। আর সেখানেই একের পর এক ধাক্কা। একটু একটু করে মোদি ম্যাজিক কার্যত শেষের পথে। সদ্যই শেষ হয়েছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর সেখানে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিজেপির প্রবল প্রচারের পরেও বাংলায় গেরুয়া শিবির নামমাত্র ভোটে বিরোধী আসনে জায়গা পেয়েছে। একইসাথে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটেও নির্মূল হয়ে গিয়েছে বিজেপি। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে কিন্তু বিজেপির শাসনক্ষমতা চলছে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি ঘটনা এই মুহূর্তে বিজেপিকে ব্যাপক চাপের মুখে ফেলেছে। 2014 সালে ইউপিএ সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি এবং দিল্লির মসনদে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে অবশ্য তিনি গুজরাটের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী বলেই পরিচিত ছিলেন। 2014 সালের পর 2019 সালে মোদীজির জনপ্রিয়তায় কিছুটা চিড় ধরলেও তাকে ধর্তব্যের মধ্যে না এনে বিজেপি কে আবারো দেশের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে কোথাও না কোথাও মোদির জনপ্রিয়তায় যে চিড় ধরেছে, সে কথা মেনে নিচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্ত্বের অনেকেই।

আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, পাঞ্জাবের মতন একাধিক বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আর সেক্ষেত্রে যদি মোদী ম্যাজিক কাজ না করে, তাহলে গেরুয়া শিবিরের সমূহ বিপদ। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধারে এবার ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বিজেপি। আগামী 30 শে মে মোদি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। আর সেই বর্ষপূর্তি উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ কল্যাণমূলক কর্মসূচি। যার মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের হাতে শুকনো রেশন, স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং অক্সিমিটার তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ভারতের গ্রামাঞ্চলে মোদি ম্যাজিক আর কাজ করছে না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি। করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসে। এবং সেই পরিস্থিতি সামলাতে মোদি সরকার যে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে, সে কথা বলাইবাহুল্য। করোনা পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছে, জায়গায় জায়গায় অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা গিয়েছে, হসপিটালে রোগী ভর্তির জন্য বেড পাওয়া যাচ্ছেনা, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছেনা। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যপরিসেবা প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে। এমনকি প্রতিষেধক প্রসঙ্গেও কেন্দ্রের ভ্রান্তনীতি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, করোনা অতিমারির প্রথম ঢেউ যখন শেষ হয়েছিল তখন সরকারি পক্ষ থেকে করোনা নির্মূল হয়ে গিয়েছে বলে প্রচার শুরু হয়। যার ফল হিতে বিপরীত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশজুড়ে করোনা প্রথমবার আসায় লকডাউন শুরু হয়েছিল। ফলস্বরূপ অর্থনীতিতে চরম মন্দা দেখা যায়। কাজ হারায় লক্ষাধিক মানুষ। একইসাথে মোদির ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে কৃষক আন্দোলন। মোদি সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নভেম্বর থেকে দিল্লিতে একনাগাড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের কৃষকদের একাংশ। এবার কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ফেরাতে উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রায় 1 লক্ষ গ্রামে ত্রাণকার্য চালানো হবে। পাশাপাশি 50000 রক্তদান শিবির হবে। কিন্তু এত করেও কি মোদি ম্যাজিক ফিরে আসবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ বিগত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদির বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে যার মধ্যে নোটবন্দি অন্যতম। জিডিপির হার তলানিতে পৌঁছেছে। বর্তমানে 45 বছরের তুলনায় সবথেকে নিম্নমুখী বেকারত্বের হার। এই সবকটি নেতিবাচক কারণ থাকা সত্ত্বেও দেশের মানুষ মোদীর ওপর আবার ভরসা করবেন কিনা তা প্রমাণিত হবে 2022 সালে লোকসভা নির্বাচনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!