এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশবাসীকে করোনা টীকা উপহারে মরিয়া কেন্দ্র! মোট ৩০ টি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি সাহায্য!

দেশবাসীকে করোনা টীকা উপহারে মরিয়া কেন্দ্র! মোট ৩০ টি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি সাহায্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। অন্যান্য দেশের মতো ভারতেরও অবস্থা তথৈবচ। বিশেষজ্ঞরা এতদিনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিষেধক ছাড়া করোনাকে ঠেকানো কোন মতেই সম্ভব নয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে করোনার প্রতিষেধক বানানোর বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। রাশিয়াও শত বিতর্ককে এক পাশে সরিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে। কিন্তু তা দিয়ে সমগ্র ভারতবাসীকে করোনার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর তার জন্যই প্রয়োজন ভারতের বুকে করোনার প্রতিষেধক এর আবিষ্কার। সে কারণেই দেশের মোট 30 টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে, এই 30 টি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার মধ্যে তিনটি সংস্থা এগিয়ে রয়েছে। আরও চারটি সংস্থা প্রি ক্লিনিক্যাল ডেভলপমেন্টাল স্টেজে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংসদে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা 30 টির বেশী ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কেন্দ্রীয় সরকার যথাযথ সাহায্য করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর মধ্যে তিনটি সংস্থা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এবং চারটি রয়েছে প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে। এদিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় সরকার সবরকমভাবে উৎসাহ প্রদান করছে। দেশের মাটিতে যে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন। আর বিশেষজ্ঞদের কথায় গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্র দেশীয় সংস্থাগুলিকেই উৎসাহ দিয়ে চলেছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির জন্য বলে জানা যাচ্ছে। নিত্যানন্দ রাই এদিন সংসদে আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি কতদূর তা দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি হয়েছে।

এই কমিটির পক্ষ থেকে দেশের সেরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই রয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, উন্নত প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের সাহায্যে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার ভারতে যেরকম দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবার সুখবর দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো জনবহুল দেশে প্রতিষেধকের প্রয়োজন বিপুল হারে আর সে ক্ষেত্রে ভারত সরকার চাইছে যত বেশি পরিমাণে প্রতিষেধক তৈরি করা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!