এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দেশে এবার যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী? বদলে যেতে চলেছে মেয়েদের বিয়ের বয়স?

দেশে এবার যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী? বদলে যেতে চলেছে মেয়েদের বিয়ের বয়স?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হননি। যার মধ্যে আছে সংখ্যালঘু মহিলাদের বৈবাহিক জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তিন তালাক প্রথা প্রত্যাহার, নোট বন্দি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর মত ঘটনা। এই প্রসঙ্গেই এবার মেয়ের বিয়ের নূন্যতম বয়স কত হওয়া উচিত সে বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করে দেখবার বিরাট একটি সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শনিবার লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় এ কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন দেশে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স হওয়া উচিত, এ বিষয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা। এ বিষয়ে সমীক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র সরকার।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের নূন্যতম বয়স সীমা ১৮ বছর এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে তা ২১ বছর।এক্ষেত্রে অভিযোগ একটি মেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে ওঠার পূর্বেই তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই সংসার ও মাতৃত্বের গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় তার ওপর। কিন্তু একজন অপরিণত কমবয়সী মেয়ের জন্য এই ব্যবস্থা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কম বয়সে মাতৃত্ব মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। তাই মেয়েদের বিবাহের বয়স বৃদ্ধির ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীত্বে পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স পুনর্বিবেচনা করে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছি আমরা। বিষয়টি নিয়ে দেশে সমীক্ষাও শুরু হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দিলেই, এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

প্রসঙ্গত চলতি বছরের জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। উক্ত কমিটির নেতৃত্বে আছেন সমতা পার্টির প্রাক্তন সভাপতি জয়া জেটলি। চলতি বছরেরই ৩১ সে জুলাইয়ের মধ্যে এই কমিটিকে তাদের রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনো এই কমিটি কোন অজ্ঞাত কারণে তাদের রিপোর্ট জমা করতে সক্ষম হয় নি। ফলত, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম সীমা নির্ধারণের ব্যাপারেও কোন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হতে পারেনি কেন্দ্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত চলতি বছরের বাজেট পেশ করার সময় মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বৃদ্ধির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রসঙ্গত মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার রোধকল্পে মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স নির্ধারণের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করবার প্রস্তাবও রেখেছিলেন তিনি।

এর পূর্বে গত ২০১৮ সালে এ ধরনের একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে তাঁরা বিবাহের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান বয়সসীমা নির্ধারণের পক্ষপাতী। তবে বিয়ের ন্যূনতম বয়স সীমা নির্ধারণের ব্যাপারে কোন সুপারিশ দেন করতে দেখা যায়নি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। আবার এই বছরেই আইন কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল সমস্ত ধর্মেই নারী-পুরুষের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর স্থির করতে।

আজ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের নারী শক্তিতে যথাপূর্ণ সন্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জীবিকা ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সম অধিকারদানের কথা তিনি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ‘‘কয়লাখনিতে কাজ করা হোক বা যুদ্ধবিমান চালানো, সব ক্ষেত্রেই আজ পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন মহিলারা। দেশে যে ৪০ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার মধ্যে ২২ কোটি অ্যাকাউন্টই মহিলাদের।’’

প্রসঙ্গত, দেশের এই বিপুল করোনা সংক্রমণ কালে এপ্রিল থেকে জুন মাসে দেশের মহিলাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে কেন্দ্র সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা জমা করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী আজ জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে দেশের প্রায় ৫ কোটি মহিলার হাতে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!