এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ঢাকঢোল পিটিয়ে চিহ্নিত করেও লক্ষাধিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা! ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ-অস্বস্তি!

ঢাকঢোল পিটিয়ে চিহ্নিত করেও লক্ষাধিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা! ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ-অস্বস্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলায় চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনার গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে ১ লক্ষ ৪৯২ টি বাড়ির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল। এই অনুমোদনের পর গত ৩১ সে মের মধ্যে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের চিহ্নিত করা, রেজিস্ট্রেশন করা, জিও ট্যাগিং করা, এ সম্পর্কিত নথি পত্র যাচাই সমস্ত কিছুই ১০ ই জুনের মধ্যে শেষ করে উপভোক্তাদের তাদের বাড়ি তৈরীর অনুমোদন পত্র ও প্রথম কিস্তির অর্থ তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর বরাদ্দ অর্থের অভাবে প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তারা পাননি।

গৃহনির্মাণ প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা চলে যাওয়ার পর, তার ১২০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরীর লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপর চার মাস অতিক্রান্ত হলেও তাঁরা প্রথম কিস্তির টাকা পাননি। আগের অর্থবর্ষেও বেশকিছু উপভোক্তা এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। বরাদ্দ অর্থ না মেলায় তাঁরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় কিস্তির টাকা অনেকেই পাননি। যার ফলে উপভোক্তাদের কাছে বারবার জবাবদিহি করতে হচ্ছে প্রশাসনের কর্তাদের। যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বীরভূম জেলার কয়েকজন বিডিও এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, গত কয়েক মাস আগে বাড়ি তৈরীর অনুমোদনের পর সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে প্রয়োজনে নিরিখে উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে সেই তালিকা সমস্ত পঞ্চায়েতের অফিসে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তালিকায় নাম রয়েছে এমন কোন উপভোক্তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, জিও ট্যাগিং করা, উপভোক্তাদের কাছ থেকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমির দলিল, জবকার্ড নম্বর সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি সংগ্রহ করার পরে এর অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতকিছু করার পরও কেন ব্যাংকে টাকা ঢুকছে এই প্রশ্ন তাদের কাছে বারবার করছেন উপভোক্তারা। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন
তাঁরা।

তবে উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা মেলার জন্য অবশ্যক সমস্ত কার্যই সম্পন্ন হয়েছে, তা নয়। এখনো বেশ কিছু উপভোক্তাকে চিহ্নিত করার কাজ বাকি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের জনৈক কর্তা জানিয়েছেন যে, বরাদ্দের টাকা মিললেই উপভোক্তারা যাতে দ্রুত সে টাকা পেতে পারেন তা তাঁরা নিশ্চিত করবেন। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, ” বরাদ্দ এখনও মেলেনি। শুনেছি দ্রুত টাকা ঢুকবে। আমরা অনুমোদন দিয়ে রেখেছি। টাকা ঢুকলেই ফান্ড ট্রান্সফারের অর্ডার করে দেব।’’

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!