এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঢাকঢোল পিটিয়ে পদ দিলেও সমালোচনার ঠেলায় এখন দুই নেতাকে “লুকোতে” ব্যস্ত তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা

ঢাকঢোল পিটিয়ে পদ দিলেও সমালোচনার ঠেলায় এখন দুই নেতাকে “লুকোতে” ব্যস্ত তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে বেশ কিছু চমক দেখা গেছে। সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য কমিটিতে নিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি জঙ্গলমহলের জনসাধারণ কমিটির নেতা দীর্ঘদিন জেলে থাকা ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর থেকেই কিছুটা হলেও বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছত্রধর মাহাতো এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল পদ দেওয়া নিয়ে নানা কটাক্ষ করতে দেখা যায় একাংশকে।

পাশাপাশি বিজেপি এবং সিপিএমের পক্ষ থেকেও এই ব্যপারে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। দুই দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বালুরঘাটের এক মহিলার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেছেন। সম্পর্কে থেকে সেই মহিলার সাথে সহবাস করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই জনমানসে এইরকম ভাবমূর্তির একজন নেতাকে তৃণমূল কেন পদ দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি ছত্রধর মাহাতোর ভূমিকা নিয়েও বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়। সেখানে দাবি করা হয়, নাশকতার সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তিকে শাসকদল কিভাবে তাদের রাজ্য নেতা করতে পারে? আর তৃনমূলের পক্ষ থেকে যখন ছত্রধর মাহাতো এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের পদ দেওয়া নিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই এবার ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এই দুই নেতাকে নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিল শাসকদল। সূত্রের খবর, এবার থেকে আর বেশি প্রকাশে আনা হবে না ছত্রধর মাহাতো এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারা যা করার আড়ালে থেকেই করবেন।

অর্থাৎ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমানে স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করে চলতে চাইছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এই দুই নেতাকে নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে কটাক্ষ শুরু করেছে, তাতে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। তাই রাজ্য কমিটিতে তাদের জায়গা হলেও আড়াল থেকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি মানুষের কাছে স্বচ্ছ হিসেবে দেখাতে চাইছে। কিন্তু বিরোধীরা যেভাবে রাজ্য কমিটিতে স্থান দেওয়া নিয়ে দুই নেতাকে নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে, তাতে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি ক্রমশ দীর্ঘায়িত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!