এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ঢাকে পড়ল কাঠি, ভোটের বাজনা বাজি! সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে ঘাসফুল আর পদ্মফুলের

ঢাকে পড়ল কাঠি, ভোটের বাজনা বাজি! সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে ঘাসফুল আর পদ্মফুলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আর হাতে মাত্র সামান্য সময়, শোনা যাচ্ছে- হয়তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে কমিশন। তার আগেই দ্বিগুণ শক্তিতে রাজ্য দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। এক্ষেত্রে যেমন মসনদের দখল ছাড়তে নারাজ রাজ্যের ঘাসফুল শিবির, ঠিক সেরকমই একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলা দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবিরসহ অন্যান্যরা। ঊনিশের লোকসভা নির্বাচন থেকেই গেরুয়া শিবির রাজ্যের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে। যথারীতি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা অন্যান্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।

লোকসভা নির্বাচনে দেখা যায়, তৃণমূল শিবিরের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল। আর তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার হারিয়ে ফেলা জায়গাগুলিতে জনসভা করে বেড়াচ্ছেন। লক্ষ্য জায়গাগুলি ফিরে পাওয়া। কার্যত, লোকসভা নির্বাচনে যেখানে যেখানে ব্যর্থতা উঠে এসেছে তৃণমূলের ঝুলিতে, এবার সেখানেই শক্তি সঞ্চয় করে জেতা প্রধান লক্ষ্য রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরের বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে গেরুয়া শিবিরের হাতে এসেছিল 7 টি আসন এবং বাকি আসনগুলি জিতে ছিল কংগ্রেস।

যথারীতি খালি হাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় উত্তরবঙ্গ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই এবার তৃণমূল নেত্রীর অন্যতম টার্গেট উত্তরবঙ্গকে ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে কয়েকবার ঘুরে এসেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে। শোনা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তিনি আবারও উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় দলীয় সভা করতে যেতে চলেছেন। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আলিপুরদুয়ারসহ জলপাইগুড়িতে একাধিক জনসভা এবং সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আর বুধবার মালদা ডিভিশনের জেলাগুলিতে জনসভা করলেন তিনি। তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, জঙ্গলমহলকেও আবারও ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের সবকটি আসনে জয়যুক্ত হয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গলমহলকে ছিনিয়ে আনাও তৃণমূলের অন্যতম লক্ষ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূল তার লক্ষ্য স্থির করলেও চুপচাপ বসে নেই গেরুয়া শিবির। রীতিমতো কড়া টক্কর দিচ্ছে তাঁরা রাজ্যের শাসক দলকে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের লড়াকু যোদ্ধারা দিলীপ- মুকুল-শুভেন্দুরা ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য ছিনিয়ে নিতে। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যথারীতি গেরুয়া শিবিরকে আটকাতে রীতিমতো ছক কষে এগোচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচন কার্যত প্রত্যেকটি দলের কাছেই অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জ।

তবে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে গেরুয়া শিবির কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল যে তাদের বিন্দুমাত্র সুযোগ দিতে রাজি নয় সে কথা পরিষ্কার। কিন্তু তৃণমূলের প্রধান সমস্যা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেই সূত্রে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা চলে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। যথারীতি পাল্লা ভারী বিজেপির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কথায় বলে রাজনীতিতে কি না হয়! তাই এখন লক্ষ্য শুধু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!