প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রায় প্রতিটি ইস্যু ধরে ধরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ধামসা মাদল বাজানোর পাশাপাশি আদিবাসীদের সঙ্গে পায়ে পা মেলালেন, তখন তা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলের প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারের আদিবাসী প্রেম নিয়েই তুলে দিলেন বড়সড় প্রশ্ন। যার জেরে বিরোধী দলনেতার এই প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামে ‌উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামে অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে আদিবাসী সমাজের পাশে আছেন বলে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন। তবে তার এই বক্তব্য নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন তিনি বলেন, “একদিকে বিশ্ব আদিবাসী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী নাচছেন। আর দেখুন, তার দলের লোকেরাই কিশোর মান্ডিকে খুন করেছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার সমাজের সর্বস্তরের মানুষের পাশে আছে বলে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে আদিবাসী দিবসের দিন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পক্ষ থেকে তাদের দলের এক কর্মী সমাজের প্রতিনিধিকে খুন করা হয়েছে বলে তৃণমূল সরকারের আদিবাসী প্রেমের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে ব্যাপকভাবে গোল দিয়ে দিলেন। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধামসা মাদলের তালে তালে নিজের পা দুলিয়ে ছিলেন। আদিবাসী সমাজের পাশে যে তার সরকার সব সময় আছে, সেই কথা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই ধরনের বক্তব্য যে আদতে শুধুমাত্র কথার কথা, তা বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।