এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীকে নৃশংস ভাবে কোপ! অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে! বাড়ছে উত্তেজনা

ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীকে নৃশংস ভাবে কোপ! অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে! বাড়ছে উত্তেজনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে যখন পারস্পরিক মতভেদ, সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, খুন, জখম, বোমাবাজি মতো ঘটনা যখন হয়ে উঠেছে রোজকার বিষয়, সেই টানটান উত্তেজনাময় পরিবেশে মালদহ জেলার জনৈক তৃণমূল সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ উঠে এলো বিজেপির বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মালদহ জেলার রতুয়ার কাহালা মণিপুরে তৃণমূল কর্মী সুখেন উপাধ্যায় উপাধ্যায়ের উপর গত বুধবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। কোনক্রমে তিনি প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু তাঁর গলায় ও হাতে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

বুধবার বিকেলে তাঁর উপর এই প্রাণঘাতী হামলার পর, গুরুতর আহত তৃণমূল কর্মী সুখেন উপাধ্যায়কে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক পড়ায়, সেই রাতেই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তার গলায় ২৬ টি ও হাতে ৬টি সেলাই পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আহত তৃনমূল সদস্য সুখেন উপাধ্যায়ের স্ত্রী গত বুধবার রাতে সুখেন বাবুর উপরে এই প্রাণঘাতী হামলায় অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুলি নির্দেশ করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে কাহালা তৃণমূল কমিটির সভাপতি শুভঙ্কর ঝা বলেছেন, ” সুখেন আমাদের সক্রিয় কর্মী। বিজেপির কয়েকজন কর্মী মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়, তোলাবাজি করে। সুখেন তার প্রতিবাদ করায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করতেই হামলা চালিয়েছে।”

তবে এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছে। এ প্রসঙ্গে মালদহ বিজেপির জেলা কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রায় বলেছেন, ” স্থানীয় বিবাদের জেরে ওই ঘটনা হয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে রাজনীতি জড়িত নেই। তাছাড়া হামলাকারীরা বিজেপির কেউ নয়।”

অন্যদিকে সুখেন উপাধ্যায়ের উপরে এই প্রাণঘাতী হামলা প্রসঙ্গে চাঁচলের এসডিপিও সজল কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, সুখেন বাবুর পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!