এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কলকাতার বস্তিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ মডেল করতে WHO – এর কাছে আবেদন তৃণমূলের!

এবার কলকাতার বস্তিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ মডেল করতে WHO – এর কাছে আবেদন তৃণমূলের!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, রাজ্য জুড়ে করোনার প্রকোপ কমার বদলেই ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। যে কারণে নতুন করে আবার বেশ কিছু কনটেইনমেন্ট জোন লকডাউনের এক্তিয়ারভুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রান্ত ভারত উপমহাদেশের চিত্রটি যে খুব একটি সুবিধাজনক জায়গায় নেই, সে কথা বলেছেন। কিন্তু তার মধ্যেই মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তির নাম উঠে আসছে। কারণ, একসময় এই ধারাভি বস্তিতেই প্রবল প্রকোপ দেখা গিয়েছিল করোনার।

কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তি পুরোপুরি বিপদমুক্ত না বলা গেলেও পরিস্থিতি যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সে কথা নিশ্চিতরূপে বলা যায়। অন্যদিকে এবার কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তি নিয়েও একই কথা বললেন তৃণমূল সাংসদ তথা স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তনু সেন। তাঁর কথা অনুযায়ী মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তির পাশাপাশি কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তিও এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রসঙ্গত একসময় বেগাছিয়া বস্তিতে করোনার খোঁজ মেলায় রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যজুড়ে প্রতিদিন সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মধ্যে কলকাতা এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের নিরিখে তালিকায় শীর্ষে। তবে জানা যাচ্ছে, কলকাতার বিভিন্ন বস্তিতে কিন্তু করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে। সে জায়গায় বড় বড় আবাসন এবং ফ্ল্যাট বাড়িতে এবার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলছে। অন্যদিকে ধারাভি এবং বেলগাছিয়া বস্তির পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ধারাভি বস্তিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 2300 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে জায়গায় বেলগাছিয়া বস্তিতে করোনা আক্রান্ত মাত্র 14 জন। দুজনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এই 14 জনের মধ্যে একজন বাদে সকলেই সেরে উঠেছেন বলে জানা গেছে। আর এই নিয়েই কলকাতা পুরসভার 93 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছেন, ধারাভি বস্তির পাশাপাশি যাতে বেলগাছিয়া বস্তির নামও উঠে আসে তাঁদের তালিকায়। কাউন্সিলর এর দাবি, কলকাতায় অবস্থিত বেলগাছিয়া বস্তি গোটা দেশের কাছে মডেল হওয়া উচিত।

বেলগাছিয়া বস্তির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করা গেল সে খোঁজ করতেই জানা গিয়েছে, আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পরেই বেলগাছিয়া বস্তি জুড়ে শুরু হয় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। পুরসভার পক্ষ থেকে মাইক্রো প্ল্যানিং করে ঘনঘন স্যানিটাইজও করা হয় পরবর্তীতে। আর তার পাশাপাশি সমগ্র বস্তিবাসীকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বস্তির বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফ থেকে তাদের বারেবারে বলা হয়েছে ঘরে থাকার জন্য।

সেই নির্দেশ মানার কারণেই এই সাফল্য এসেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রশাসনকে আবারও চিন্তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। কনটেইনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন করলেও পরিস্থিতি যে বিশেষ কিছু বদলাচ্ছে না, সে ব্যাপারে একমত সবাই। অন্যদিকে মাত্রাছাড়া করোনা সংক্রমণের ফলে ইতিমধ্যে আতঙ্কিত মানুষ। প্রায় প্রতিদিন খবর পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর। এই অবস্থায় বেলগাছিয়া বস্তি নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবী কতটা ঠিক তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!