এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ধর্মপ্রাণ এলাকার ভালো ছেলেগুলোই জঙ্গি! বাংলায় আলকায়দা জঙ্গি ধরা পড়তেই অবাক প্রতিবেশীরা!

ধর্মপ্রাণ এলাকার ভালো ছেলেগুলোই জঙ্গি! বাংলায় আলকায়দা জঙ্গি ধরা পড়তেই অবাক প্রতিবেশীরা!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্গাপূজার প্রাক্কালে বাংলায় প্রকাশ হল আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ। আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠী- যাদের নাম শুনলেই আতঙ্কের সিরসিরানি অনুভব করা যায়। জানা যায়, আল-কায়দা একটি অন্তর্দেশীয় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন। ওসামা বিন লাদেন এবং বেশ কয়েকটি আরব জঙ্গি প্রতিষ্ঠান দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং জানা যায়, ভারতে রয়েছে বেশ কয়েকজন আল-কায়দা জঙ্গী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসে কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের নাম।

শনিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার এগারটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এবং তল্লাশিতে ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদ থেকে 6 জন এবং এর্নাকুলাম থেকে তিনজন। কিন্তু মুর্শিদাবাদ থেকে যে 6 জনকে ধরা হয়েছে, তাঁরা আল-কায়দা জঙ্গী একথা শুনে রীতিমতো হতবাক তাঁদের প্রতিবেশীরা। কারণ মুর্শিদাবাদ ডোমকলের বাসিন্দারা প্রত্যেকেই জানাচ্ছে এই 6 জঙ্গিদের কেউ কলেজছাত্র, কেউ কলেজের অস্থায়ী কর্মী, কেউ আবার ধর্মপ্রাণ, আবার কেউ এলাকার ভালো ছেলে বলেই পরিচিত।

তাই এই ভালো ছেলেদের একটু পরিচয় নেওয়া যাক। গঙ্গাধরপাড়ার বাসিন্দা নাজবুস সাকিব, ডোমকল পুরাতন বিডিও মোড়ের বাসিন্দা লিওন আহমেদ, জলঙ্গির সর্বপল্লি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা আতিউর রহমান, মাইনুল মণ্ডল, জলঙ্গির মধুবোনার ইয়াকুব বিশ্বাস, রানিনগর মধ্যপাড়ার মুর্শিদ হাসান এবং কালীনগরের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীর ছেলে নাজবুস সাকিব বসন্তপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। নিতান্তই ধর্মপ্রাণ বলেই পরিচিত এলাকায়। শুধু তাই নয়, মিশুকে বলেও নাম ছিল তাঁর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরকম একটা ছেলের আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে কি করে যোগাযোগ হল, তাই ভাবাচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। আরেকজন ধৃত আল-কায়দা জঙ্গী হল লিওন। বসন্তপুর কলেজেই ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে সে। এহেন লিওন যে জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কেউ। কৃষক পরিবারের ছেলে আতিউর, করিমপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিভাবে সাধারণ বাড়ি থেকে সুদূর আফগানিস্তানের আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠলো তাঁদের বাড়ির ছেলে তা ভেবে পাচ্ছেনা পরিবারের কেউ।

জানা গেছে, আরও দুই জঙ্গী মাইনুল এবং মুর্শিদ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত এবং আবু সুফিয়ান দর্জির কাজ করতো। সূত্রের খবর, ধৃত প্রত্যেক জঙ্গী ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ‘লোন উলফ’ নামক একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। অন্যদিকে ডোমকলে জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের পাশে জেলা নদিয়ার তেহট্ট মহুকুমাসহ একাধিক জায়গায় শুরু হয়ে গেছে পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ।

দুই জেলার সংযোগস্থলগুলিতে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই হতবাক এবং আতঙ্কিত করেছে এলাকাবাসীকে। তবে বাংলার বুকে এত দিন ধরে নিশ্চুপে বসে এইভাবে আল-কায়দা জঙ্গী নাশকতার চক্রান্ত করছিল কিভাবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আপাতত ভারতের আর কোন কোন জায়গায় জঙ্গিগোষ্ঠী রয়ে গেছে এখনো, তা নিয়ে চলছে তদন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!