ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের কারণে আইনের জালে এবার তৃণমূল সাংসদ জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি January 15, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন আর তার আগেই দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন সময় রাজ্যের যুযুধান রাজনৈতিক শিবির গুলি একে অপরকে আক্রমণ করতে চালাচ্ছে বাক্যবাণ। কিন্তু এবার বিতর্কিত বাক্যবাণ প্রয়োগ করায় আইনের ফাঁদে পড়তে হলো শাসকদলের সাংসদকে। শুধু সাংসদই নয়, আইনের জালে জড়ালেন এবার স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাম সীতার উদাহরণ তুলে আনেন। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি। বিহারের সীতামারি দায়রা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ঠাকুর চন্দন সিং নামে একজন আইনজীবী। শুধু বিহারেই নয়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে হাওড়াতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গত সোমবার গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে গিয়ে হাথরাস কাণ্ডের কথা তুলে ধরেন আর সেখানেই তিনি উদাহরণ হিসেবে পেশ করেন স্বয়ং ভগবান রাম ও সীতাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেখানেই আপত্তি গেরুয়া সেনাদের। গেরুয়া শিবির থেকে বলা হচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের হাতে রাখতে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে। আর তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 295এ এবং 120বি ধারায় মামলা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ভগবান রামকে সারা ভারতবর্ষে দেবতা হিসেবে পূজা করা হয়। আর তার পাশে থাকেন মাতা সীতা। সেক্ষেত্রে রাম ও সীতা উভয়কেই অপমান করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বলে দাবী অভিযোগকারীর। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে উঠেছে ঝড়। অন্যদিকে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়- কারোরই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই মামলা যে তৃণমূলকে চাপে ফেলার অন্যতম কৌশল, সে কথা বলাইবাহুল্য। বাংলায় একুশের নির্বাচন সামনে। এইসময় বিহারের মামলা কিভাবে এড়াতে পারেন তৃণমূল সাংসদ ও মুখ্যমন্ত্রী সেদিকেই এখন নজর থাকবে সবার। আপনার মতামত জানান -