ধর্ষণ আটকাতে এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল কেরল হাইকোর্ট, প্রশংসা সর্বস্তরে অন্যান্য জাতীয় August 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ধর্ষণের মতো ঘটনা আমাদের দেশে নিত্যদিন হচ্ছে। কার্যত ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েরাই। আজকের দিনে দাঁড়িয়েও বলা যায়, মেয়েদের নিরাপত্তা বিশ্বের কোথাও নেই। নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে মাঝে মাঝেই নানান গালভরা কথা শোনা যায় ঠিকই, কিন্তু নারী-পুরুষ সমান সমান আওয়াজ উঠলেও এখনো পর্যন্ত দেশে নারীদেরকে বিভিন্নভাবে যে নির্যাতিত হতে হয়, তা দেশজুড়ে ধর্ষণের তালিকায় চোখ বোলালেই বোঝা যাবে। তাই এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কেরল হাইকোর্ট। আর এই সিদ্ধান্তের প্রশ্নগসা হচ্ছে সর্বস্তরে। কার্যত ধর্ষণের অপরাধে ইতি টানতে বড়োসড়ো পদক্ষেপ কেরল হাইকোর্টের। এই সিদ্ধান্তের পেছনে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যাও করল আদালত। কার্যত এতদিন পর্যন্ত বলা হত, শুধুমাত্র নারীশরীরে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করলেই তাকে ধর্ষণ হিসেবে মানা হবে। কিন্তু এবার থেকে শুধু এই একটি মাত্র কারণ ঘটলেই ধর্ষণ হিসেবে ধরা হবেনা, বরং ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়ে নারী শরীর স্পর্শ করলে কিংবা আক্রোশের বসে নারী শরীরের ওপর আক্রমণ প্রত্যেকটি চরম অপরাধ হিসেবে নথিভুক্ত হবে। এবং অভিযোগ প্রমাণ হলে ধর্ষণের অপরাধে যা শাস্তি হয়, সেই একই শাস্তি হবে অপরাধীর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেরালায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন এক যুবতি। নিম্ন আদালত সেই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করলে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাইকোর্টও তাঁর কোনো কথাই শোনেনি। উল্টে এই মামলার সূত্র ধরে এবার থেকে ধর্ষণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উপর অত্যাচার হলেই তা ধর্ষণের নামান্তর হিসেবে বর্ণিত হবে এবং সেই সমস্ত অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা করল কেরালা হাইকোর্ট। এমনকি যদি নির্যাতিতার দেহ অসৎ উদ্দেশ্যে স্পর্শও করা হয় তাহলেও তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে। অপরাধীর ভারতীয় দণ্ডবিধির 375 ধারা অনুযায়ী শাস্তি হবে। প্রসঙ্গত এর আগে একাধিক মামলায় এরকম রায় দেওয়া হয়েছে। তবে দেশের বিচার ব্যবস্থার পক্ষ থেকে ধর্ষণের চেষ্টাকেও সমান অপরাধ বলে গণ্য করতে চাইছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেরল হাইকোর্ট নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আজ। কার্যত হাইকোর্টের এই নির্দেশ নারী নির্যাতনে কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এখন সেটাই দেখার। পাশাপাশি শুধু কেরালা নয়, দেশের অন্যত্রও এই আইন বলবৎ হওয়া অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন সমাজতত্ত্ববিদরা। আপনার মতামত জানান -