এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের এনকাউন্টারে মৃত্যু! রাজনৈতিক দ্বন্দ শুরু কেন্দ্রীয় মহলে

ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের এনকাউন্টারে মৃত্যু! রাজনৈতিক দ্বন্দ শুরু কেন্দ্রীয় মহলে

সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছে হায়দ্রাবাদের প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ধৃত চার অপরাধী। শুক্রবার 44 নম্বর জাতীয় সড়কে অপরাধীদের নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনার পুনঃ নির্মাণ করতে। সে সময় পুলিশকে বাধা দিয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের তরফ থেকে এনকাউন্টার করা হয়। এবং তাতেই মারা যায় চার অপরাধী। এই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রকাশ পেয়েছে প্রবল উচ্ছ্বাস। শুরু থেকেই দেশবাসীদের একটাই দাবি ছিল, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী যারা- তাদের একটাই শাস্তি হতে পারে, আর তা হল ফাঁসি। দেশবাসীর দাবি যে এত তাড়াতাড়ি ফলে যাবে, সে কথা স্বপ্নেও ভাবেননি কেউ। আর তার জন্যই হায়দ্রাবাদ পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছে আজকে দেশের জনগণ। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় ভরে উঠেছে হায়দ্রাবাদ পুলিশের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা।

আর এই ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন। আর তার প্রমাণ, এদিন এনকাউন্টারের ফলে দেশবাসীর উচ্ছ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, একের পর এক ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশবাসী ফুঁসছিল। দিল্লি থেকে উন্নাও সেখান থেকে হায়দ্রাবাদ- যেন একই ধারা, একই গতিবেগ বজায় রেখে ঘটনাগুলি ঘটে যাচ্ছিল। একের পর এক ঘটনা ঘটে যাওয়ায় দেশবাসী যখন ক্ষোভে ফুঁসছে, তখন হায়দ্রাবাদ পুলিশের এনকাউন্টার মানুষের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। আর এখানেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমস্ত রাজ্যের কাছে কেজরিওয়াল আবেদন করেছেন, বিচারব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য প্রতিটি রাজ্যের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে, হায়দ্রাবাদের এনকাউন্টার এর ঘটনায় বিজেপির মধ্যেই মতভেদ দেখা গেছে। একদিকে যেমন তেলেঙ্গানার বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে সরকার এবং ডিজিপি সাংবাদিক বৈঠক করে সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ দিক। অন্যদিকে মানেকা গান্ধী অভিযোগ করেছেন, মানুষকে হত্যা করে পুলিশ নিজের হাতে আইন কি করে তুলে নেয়? অভিযুক্তদের অবশ্যই উচিত ছিল ফাঁসি হওয়া, তবে তা আদালত ব্যবস্থার ওপর ভরসা রেখে। অন্যদিকে, এই এনকাউন্টারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর পুলিশের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘পুলিশের মতোই কাজ করেছে তেলেঙ্গানার পুলিশ‌।’

তবে রাজনৈতিক দিক থেকে প্রশ্ন উঠলেও সাধারণ জনগণ এই এনকাউন্টারকেই পূর্ণমাত্রায় সমর্থন করেছে। একের পর এক দেশজুড়ে ধর্ষণ কাণ্ড ঘটে যায় কিন্তু অপরাধী ধরা পড়লে তার শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে হয় এক পক্ষকাল। তার মধ্যে হয়তো অপরাধী অসুস্থ হয়ে মারা যায়, কিংবা আইনের ফাঁক গলে কোন অপরাধী মুক্ত হয়ে যায়- যে ছবি দেখা গেছে নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের ক্ষেত্রে। তবে এবার চার অপরাধী নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটালেও তারা তাদের শাস্তি পেয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ তাঁদের খুশি ধরে রাখতে পারছেনা। বহু জায়গায় মিষ্টি বিতরণ থেকে শুরু করে আনন্দ উদযাপন শুরু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি ধর্ষকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যু হয়নি। শুধুমাত্র তারা পুলিশকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করায় তাদের গুলি করে মারা হয়েছে। কিন্তু কারণ যাই হোক, অপরাধীদের মৃত্যুই আসল একথা এখন দেশবাসী মানছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!