এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ২০২১-এ বাংলার কুর্শি কার দখলে ঠিক করে দেবে ‘ধর্ম’? নির্বাচনের ছমাস আগেই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন

২০২১-এ বাংলার কুর্শি কার দখলে ঠিক করে দেবে ‘ধর্ম’? নির্বাচনের ছমাস আগেই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারত হল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তাই ধর্মকে হাতিয়ার করে কোনভাবেই নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া যাবে না, এমন মন্তব্য করে কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে মামলা করতে দেখা গিয়েছিল এক নেতাকে। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুর্গাপূজা কমিটিগুলিকে অনুদান দিতে উদ্যোগী হয়েছে বলেই এমন অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন সেই নেতা।

সেইসঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদানের টাকার ৭৫ শতাংশ করোনা সরঞ্জাম কেনা এবং বাকি ২৫% মানুষের স্বার্থে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এভাবে সরকারি টাকা খরচ করা যায়না বলেই জানান হয়েছিল কোর্টের তরফে। সেইসঙ্গে রাজ্যকে কোর্টে অনুদানের টাকা খরচের একটি হিসেবও পেশ করতে হবে বলেও জানা গিয়েছিল।

বস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালে দুর্গা পুজো কমিটিগুলিকে দশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর তা পঁচিশ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তবে তখনো অভিযোগ দেখা গিয়েছিল মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। সেইসময় পুলিশ, দমকল এদেরও অনুদান দেওয়া হবে সেই কথা জানানো হলেও এই নিয়ে কথা শুনতে হয়েছিল সরকারকে।

সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনের নির্বাচনে কুরসি দখল নিয়ে রাজনীতিবিদদের মনে নতুন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। তাদের কথায়, ধর্মীয় মেরুকরণকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল হয়তো ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হয়েছিল। আর তার কারণস্বরূপ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফলকেই চিহ্নিত করেছেন কূটনৈতিকরা।

তাদের কথায়, মমতা সরকার বিরোধীদের কাছ থেকে হিন্দু বিরোধিতা পেয়েছিল। এছাড়া সংখ্যালঘুদের তোষামোদ করেন বলেও তকমা পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথাই বলেছিলেন, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে পারেননি তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব যাতে বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে, সেই কারণেই হয়তো পুজো কমিটি গুলোকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে বিজেপির বিধানসভা লক্ষ্য হচ্ছে বাংলা দখল। আর বাংলা দখল করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধর্মীয় মেরুকরণকে লক্ষ্য করে বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও দেখা গেছে তাদেরকে।

শুধু তাই নয়, রাজনীতিকদের মতে, নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো করে জানেন যে বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোর কত বড় উৎসব। তাই বাঙালির মনে প্রবেশ করতে গেলে দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করতে হবে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। যেহেতু ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিজেপিকে অবাঙালি তকমা দিয়ে ফেলেছে, তাই বাঙ্গালীদের মনে নিজেদের বাঙালিয়ানার ভাবধারা ফুটিয়ে তুলতে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে পুজোর আগে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

আর তাই বিরোধীদের টেক্কা দিতে উত্তর থেকে দক্ষিণ এবার ভার্চুয়ালি বিভিন্ন পুজো উদ্বোধনের কার্যপ্রণালী নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছেন অনেক রাজনীতিবিদ। বস্তুত, উত্তরপ্রদেশে দাশেরা এবং রামলীলা করার অনুমতি দেওয়া হলেও বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে।

তাই এত বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের পুজো উদ্বোধন করতে দেখা না গেলেও, এই বছর কেবলমাত্র কলকাতায় পুজো উদ্বোধন করেই তিনি আটকে থাকতে রাজি হননি। আর তাই এবার তিনি উত্তর থেকে দক্ষিণে বিভিন্ন জেলায় ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করেছেন। আর তাঁর এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের ধর্মীয় মেরুকরণ এই তকমা থেকে সরাতে অনেকটাই কার্যকরী পদক্ষেপ হবে বলেই মনে করছেন বিভিন্ন রাজনীতিবিদ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!