এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ধর্ষন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেও দমলেন না হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক! জোর চাঞ্চল্য!

ধর্ষন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেও দমলেন না হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক! জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে যেভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, তার নিন্দা করে সরব হয়েছে সমাজকর্মী থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে বিরোধীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে ময়দানে নামলেও, তা নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংকে। যেখানে ধর্ষণের জন্য মেয়েকে বাবা-মায়েরা সংস্কার শেখালেই সবকিছু আটকানো যেতে পারে বলে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন এই বিজেপি বিধায়ক। যার পর গোটা দেশজুড়ে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছিল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছিল। আর এবার তার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং।

সূত্রের খবর, সোমবার উত্তরপ্রদেশের বলিয়াতে বিজেপির বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং বলেন, “রাহুলের চরিত্রে দ্বিচারিতা এবং বিদেশি মানসিকতা রয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। জাতীয়তাবাদের থেকে পাঠ নিলেই একমাত্র জাতীয়তাবাদ বিষয়টা বুঝতে পারবেন। দেশের সংস্কৃতি তিনি বুঝতে পারবেন না। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দ্বিচারিতা চোখে পড়েছে। পথে ওরা হাসছিলেন। আর ওদের বাড়িতে কাঁদছিলেন।” স্বভাবতই বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণের জন্য বাবা-মায়ের শিক্ষাকে দায়ী করার পর তা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তাকে আক্রমণ করা হলেও, যেভাবে পাল্টা বিরোধী নেতার জাতীয়তাবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং, তাতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা মোটেই কাম্য নয়। দলমত নির্বিশেষে সকলের সেই দলিত নির্যাতিতা প্রয়াত তরুনীর বিচারের দাবিতে ময়দানে নামা উচিত। কিন্তু সেখানে যেভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শ দেখা হচ্ছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে একে অপরকে কুকথার মাধ্যমে আক্রমণ করছেন, তা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে বলছেন, যার বাড়ির কন্যা গেছে, সেই বাবা মা জানে, মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা। রাজনৈতিক নেতারা এক্ষেত্রে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ফায়দা তুলতে সবথেকে বেশি ব্যস্ত। তাই প্রকৃত অর্থেই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আওয়াজ না তুলে বিরোধীদলকে কটাক্ষ এবং কুকথায় বিঁধে আক্রমণ করতেই ব্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। সব মিলিয়ে সুরেন্দ্র সিংয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!