প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল‌। প্রথমে উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি তুলে, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই চাপ ক্রমশ বাড়ছিল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার ওপর। আর এবার আরও এক ভয়াবহ অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ এক ধর্ষণকারীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এক নির্যাতিত আদিবাসী মহিলার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণকারীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন এই বিজেপি সাংসদ। আর তারপরেই সেই আদিবাসী মহিলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। আর তার পরেই তিনি সেই বিজেপি সাংসদের কাছে যান। কিন্তু সাংসদ তাকে সাহায্য করার বদলে সেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো চাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারের সক্রিয় হতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। তবে এক মহিলা বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেও, তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। এই ঘটনা যদি অনেকদিন আগেই হয়ে থাকে, তাহলে তখন তিনি অভিযোগ জানাননি কেন?” যদিও বা এই বিষয়ে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে। তবে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় যে ক্রমশ ব্যাকফুটে যেতে শুরু করেছেন এই হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে যে তৃণমূল কংগ্রেস আরও বেশি করে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।