এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ধৃত ৬ আলকায়দা জঙ্গি জেরায় বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য! বাংলার আরও অন্তত ৪ জেলায় সম্ভাব্য বহু জঙ্গি?

ধৃত ৬ আলকায়দা জঙ্গি জেরায় বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য! বাংলার আরও অন্তত ৪ জেলায় সম্ভাব্য বহু জঙ্গি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার মুর্শিদাবাদ থেকে ছয়জন আল-কায়েদা জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। গতকাল রবিবার বিধান নগরের এনআইএ দপ্তরে সারাদিন তাদের নানা রকম জেরা করা হয়েছে। অন্যদিকে কেরালা রাজ্যের এর্নাকুলাম থেকেও তিনজন আল-কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ও কেরালার মোট ৯ জন জঙ্গিকে নিয়ে আজ দিল্লি যাবার সম্ভাবনা আছে। দিল্লিতে তাদেরকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তাঁরা মনে করছেন, এদেরকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারলেই তাদের জঙ্গি কার্যকলাপের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে।

মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ জন আল-কায়েদা জঙ্গীদের জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে। তাদের জেরা করে জানা গেছে মুর্শিদাবাদে আরো ২ জন সকলের জঙ্গি সদস্য আছে যাদের এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এরা দুজনেই সক্রিয় জঙ্গি সদস্য। এজের মধ্যে একজন হলো আনসারী। আবার পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল থেকে তিন জন জঙ্গিকে জিহাদি ট্রেনিং নিতে পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানে। কেরল ও মুর্শিদাবাদ থেকে আটক করা জঙ্গিনেতা মুরশিদ ও কালামের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখতো পাকিস্তানের আল কায়েদা নেতা হামজা। যা চলতো ভিআইপি কলের দ্বারা। সে বিষয় খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দা আধিকারিকেরা । আবার ধৃত জঙ্গি কালাম, লিউ ইয়ান আহমেদ, আতিউর রহমান, নাজমুস সাকিব এদের প্রত্যেককেই বিস্ফোরণ প্রস্তুতির ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। লকডাউন শুরু হওয়ার পূর্বেই বেঙ্গালুরু গিয়ে এরা সহজে বিস্ফোরক তৈরির ট্রেনিং নিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের জেরাতে মুর্শিদাবাদ ছাড়াও মালদহ জেলার বেশ কিছু স্থানের নাম উঠে এসেছে। সেইসব স্থানগুলোতেও তাদের মডিউল আছে। আবার মুর্শিদাবাদ, মালদা ছাড়াও বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও এদের আনাগোনা থাকতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা অনুমান করছেন। তাই এই জেলাগুলিতেও তল্লাশি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার মুর্শিদাবাদের দুই পলাতক জঙ্গিকে নাগালে পেতে উঠে-পড়ে লেগেছে তদন্ত সংস্থার সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গী লিউ ইয়ান আহমেদ বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরিতে ওস্তাদ। এ কারণেই তাকে চকলেট বোমার মসলা, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও কিছু সহজলভ্য বস্তু ব্যবহার করে বিস্ফোরক তৈরির ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। আবার ইন্টারনেট, ইউটিউব, আকিস এর গোপন ম্যাগাজিন দেখেও সে বোমা ও বিস্ফোরক তৈরীর ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল। সেগুলো সব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তাদের জেরার সূত্রে উঠে এসেছে, কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য তারা কাশ্মীরের পরিবর্তে দিল্লি গিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের হাত বদল করে একটা বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল। তদন্তকারীদের প্রচেষ্টায় তাদের সেই চেষ্টা বানচাল হয়েছে। তবে এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের জাল ছড়িয়ে আছে, সেই জাল ভেদ করার চেষ্টায় ব্যস্ত তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!