এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বহু চেষ্টা করেও কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছেন না তামাকজাত দ্রব্য থেকে? কিছু সহজ উপায় মানলেই পেতে পারেন মুক্তি! জানুন বিস্তারিত

বহু চেষ্টা করেও কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছেন না তামাকজাত দ্রব্য থেকে? কিছু সহজ উপায় মানলেই পেতে পারেন মুক্তি! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –

বর্তমানে মানুষের মধ্যে ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্যের সেবন যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেই প্রচার চালানো হচ্ছে হরদম। তবুও মানুষের মধ্যে বর্তমানে সচেতনতা সৃষ্টি সেভাবে হচ্ছে না বলেই মনে করছেন সমীক্ষাকারীরা। তবে কেন মানুষের এহেন আসক্তি যে, ক্ষতির কথা জানার পরেও মানুষের মধ্যে পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না, এহেন অনেক প্রশ্নই উঠেছে মানুষের মধ্যে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের তরফেও উঠে এসেছিল অনেক তথ্য।

বহু চিকিৎসকের মতে, যেকোনো নেশাজনিত দ্রব্যের বহুদিন সেবনের ফলে মানুষের মস্তিষ্কের স্ট্রাকচার পরিবর্তন হয়ে যায়, ফলে সেটি ছাড়া বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে যে নেশা দ্রব্যের ক্ষমতা যত বেশি, সেটিকে ছাড়া ততটাই কঠিন। সেইসঙ্গে শরীরেও নানা ধরনের পরিবর্তন হয় বলেও মনে করেন অনেকে। হরমোনের কার্যক্ষমতা হ্রাস বৃদ্ধি ঘটিয়ে মানুষের শরীরে অস্বস্তি থেকে অসুস্থতা অনেক লক্ষণই দেখা যেতে পারে বলেও জানান চিকিৎসকরা।

সেইসঙ্গে আসক্ত ব্যক্তিটিকে নিয়ে পরিবারের সকলের মধ্যেও চিন্তার উদ্রেক তৈরি হয়। যদিও বাজারে তামাকজাত দ্রব্য ছাড়ার জন্য কিছু সাবস্টিটিউট হিসেবে পাওয়া যায়, তবুও অনেক মনোবৈজ্ঞানিকই মনে করেন যে, মানুষের চেষ্টাতেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা যায়। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে কিভাবে? এক্ষেত্রে কিছু বিশেষ উপায় মেনে চললে তামাকজাত দ্রব্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক্ষেত্রে মানসিকভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকাটাকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায় যে ব্যক্তি তামাকজাত দ্রব্য ছাড়তে চাইছেন, তিনি সবার আগে নিজের মনকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে তিনি দৃঢ়ভাবে এই কাজটি করতে চাইছেন। সেইসঙ্গে নিয়ম করে মেডিটেশন করলেও উপকার পেতে পারেন। সেইসঙ্গে তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতি সম্পর্কে নিজের হাতে একটি চাট বানিয়ে ফেলতে পারেন। হাতে-কলমে এই কাজটি করে বাড়ির এমন একটি স্থানে সেটিকে রাখুন, যাতে আসতে যেতে বা দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার সেটি আপনার চোখে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে বেডরুমে বেড সাইড টেবিলে বা বাড়ির ফ্রিজের গায়ে আটকে রাখতে পারেন এটিকে। অন্যদিকে, অনেকেরই একটি বিশেষ সময় সিগারেট বা তামাক জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার অভ্যেস থাকে। যেমন ভাত খেয়ে ওঠার পর, কি শুতে যাওয়ার আগে বা যেকোনো জিনিস পড়তে পড়তে বা অফিসের কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে। সেক্ষেত্রে এমন বিশেষ বিশেষ সময়ে হাতের কাছে টফি জাতীয় জিনিস রাখতে পারেন। তবে যদি আপনি সুগারের পেশেন্ট হন বা অন্য কোন কারণে মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খাওয়া আপনার পক্ষে বারণ হয়ে থাকে, তবে এর পরিবর্তে মৌরি, জোয়ান বা যেকোনো মুখসুদ্ধি হাতের কাছে রাখতে পারেন।

তামাকজাত দ্রব্যের পরিবর্তে প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই শরীরের বিশেষ ক্ষতি যাতে না হয় সেক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে এটা বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজন যে একটি জিনিসের থেকে নিস্তার পেতে গিয়ে যেন আমরা অন্য কোন জিনিসে আসক্ত হয়ে না পড়ি। কারণ অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই একটি নেশার দ্রব্য বর্জন করতে গিয়ে অন্য জিনিসে আসক্ত হয়ে পড়েন।

সেক্ষেত্রে উল্টে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন নিজেকে এটা মনে করানো খুবই প্রয়োজন যে আপনি আপনার পরিবারের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার শরীর স্বাস্থ্য সঠিক না রাখতে পারলে আপনার পরিবারের মানুষের খেয়াল রাখা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে সকলের খেয়াল রাখতে সবার আগে আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই সুস্থ থাকুন এবং আপনার পরিবারের সকলের খেয়াল রাখুন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!