এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ডিআই অফিসের গাফিলতির জেরে চাকরি পেতে নাজেহাল হবু শিক্ষকরা, বাড়ছে ক্ষোভ

ডিআই অফিসের গাফিলতির জেরে চাকরি পেতে নাজেহাল হবু শিক্ষকরা, বাড়ছে ক্ষোভ

এ যেন এক আজব কান্ড পূর্ব বর্ধমানে। শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরদর্শকের সঠিক নজড়ের অভাবে এবার চরম বিভ্রান্তিতে পড়ে কি করবেন ভাবী শিক্ষক শিক্ষিকারা তা বুঝতে পারছেন না কেউই।

সূত্রের খবর, জীবন বিজ্ঞান বিষয়ে কোনো শূন্যপদ না থাকা সত্তেও জেলার শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ বিদ্যামন্দিরের তরফে নবম-দশম শ্রেনীতে শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ রয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর ওয়েবসাইটে সেই বিজ্ঞপ্তি দেখেই সেখানে আবেদন করেন শাহিনা সুলতানা নামে এক মহিলা। কাউন্সেলিং শেষে এসএসসি কতৃপক্ষের তরফে ওই মহিলাকে চাকরির সুপারিশ পত্র দিলেও তিনি সেই স্কুলে যাওয়ার সাথে সাথে সেখানকার টিচার ইন চার্জ জানিয়ে দেন যে, এই স্কুলে নবম দশম শ্রেনীর জীবন বিজ্ঞান বিভাগে কোনো শূন্যপদ নেই। আর এই ঘটনায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষামহলে।

শুধু তাই নয়, এমনও অনেক স্কুল আছে যেখানে একগুচ্ছ শূন্যপদ থাকা সত্তেও ওয়েবাসাইটে মোটে একটি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যেমন, এই জেলারই জামালপুরের চকদিঘি গার্লস হাইস্কুল। সূত্রের খবর, বিগত 2010 সাল থেকে প্রধান শিক্ষিকা সহ ছটি শূন্যপদ রয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে সাতজন শিক্ষিকা দিয়ে কোনোরকমে এই স্কুল চলছে। অথচ এই স্কুলেরই বায়োলজি বিভাগে শূন্যপদ থাকলেও সেখানে মোটে একটি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অবিলম্বে এই শিক্ষিকাদের শূন্যপদ মেটানোর দাবি জানিয়েছেন স্কুলের টিচার ইন চার্জ তাপসী অধিকারী।

মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা একজোট হয়ে জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শককে একটি অভিযোগও জানান। কিন্তু যেখানে দরকার সেখানে শিক্ষক না দিয়ে যেখানে দরকার নেই সেইখানে এই শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেওয়া হচ্ছে কেন? এই ব্যাপারে কি তাহলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস তাঁর নিজের দায় এড়াতে পারে?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক খগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “জেলার আপার প্রাইমারিতে 1016 এবং নবম দশম শ্রেনীতে 800 র মত শূন্যপদ রয়েছে। কিছুক্ষেত্রে এই শূন্যপদ নিয়ে সমস্যা হয়েছে। আমরা দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করছি।” তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক যাই বলুন না কেন! তাদের গাফিলতিতে জেলার শিক্ষক শিক্ষিকাদের এহেন সমস্যায় হতবাক শিক্ষামহলও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!