এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রুখতে নতুন ‘ট্যাক্সের’ ভাবনায় কেন্দ্র সরকার! জানুন বিস্তারিত

ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রুখতে নতুন ‘ট্যাক্সের’ ভাবনায় কেন্দ্র সরকার! জানুন বিস্তারিত

যত দিন যাচ্ছে, মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন নতুন রোগের। আর যে দুটো অসুখ মানুষকে সর্বদা আতঙ্কে রাখে, তা হল ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার। কিন্তু হঠাৎ এই ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন! জানেন কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অন্যতম দু’টি কারণ মিষ্টি ও তামাক। তবে এবার এই মিষ্টি এবং তামাককে নিয়ন্ত্রণে আনতে চিনিযুক্ত এবং তামাকজাত পণ্যে বাড়তি কর চাপানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্রের খবর, সোমবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শহরে এসে এই মন্তব্য করেন সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য গবেষণা মন্ত্রকের সচিব ডাঃ বলরাম ভার্গব। তিনি বলেন, “এই করের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘এসট্যাক্স’। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই আমাদের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রকে জমা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেই আমরা এগচ্ছি। কারণ, মিষ্টান্ন দ্রব্যের সঙ্গে অনেকের আবেগ জড়িয়ে আছে। জড়িয়ে আছে ব্যবসাও।”

জানা গেছে, এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইসিএমআরের অধীনে বেলেঘাটায় আইডি হাসপাতালের নাইসেড চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হল ন্যাশনাল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হাব বা ‘এএমআর হাব’-এর। মূলত মুড়ি-মিছরির মত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিপদের জন্য ক্রমবর্ধমান বিধ্বংসী ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধে এই জাতীয় কেন্দ্র।

এছাড়াও এদিন এই ধরনের বিধ্বংসী ‘সুপারবাগ’-এর জাতীয় রিপোসিটরি বা কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারের উদ্বোধন করেন ডাঃ বলরাম ভার্গব। জানা গেছে, এদিন এই অনুষ্ঠান শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে দেশের শীর্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ভারতের প্রধান ডাঃ হেনরিক জান বেকেদাম, ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেনেথ আই জাস্টার, নাইসেড অধিকর্তা ডাঃ শান্তা দত্ত সহ অন্যান্যরা। ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ইস্যু যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ওঠা আইসিএমআর ডিজি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য গবেষণা মন্ত্রকের সচিব ডাঃ বলরাম ভার্গবের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “একসময়ের প্রাণদায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের জন্য আমরা এখন ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার মতো ‘রাক্ষস’-এর কবলে পড়েছি। সারা দেশের অত্যাধুনিক চিকিৎসা গবেষণার জন্য ১২টি বায়োসেফটি থ্রি পর্যায়ের গবেষণাগার রয়েছে। এর থেকেও আধুনিক পর্যায়ের (বিএসএল-৪) পর্যায়ের গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে শুধুমাত্র পুনের এনআইভি। এছাড়াও নাগপুরে আরও একটি বিএসএল-৪ পর্যায়ের গবেষণাকেন্দ্র হতে চলেছে। এজন্য মহারাষ্ট্র সরকার জমি দিয়েছে।”

সূত্রের খবর, ওই গবেষণাগারে বর্তমানে পৃথিবীর চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় জুনোটিক ডিজিজ বা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত অসুখবিসুখ নিয়ে গবেষণা হবে। যে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান হেলথ’। ডাঃ ভার্গবের মতে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য ফাইটো ফার্মাসিউটিক্যালস নিয়ে গবেষণা করা। কারণ, বহু মানুষই নানা রোগের চিকিৎসা নিয়ে দাবি করছেন, তাঁদের কাছে নাকি সে রোগের মোক্ষম ওষুধ রয়েছে।

তবে তারা যেমন কারও দাবিই উড়িয়ে দিচ্ছেন না, ঠিক তেমনই এটাও জানিয়ে দিচ্ছেন যে, রোগ সারানোর চারটি মৌলিক উপাদান তাঁদের ওষুধে থাকলে তবেই আমরা গুরুত্ব দেব। পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ডেঙ্গু ভাইরাসের মোকাবিলায় টিকা তৈরির জন্য গবেষণা চলছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেন, “সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কোথায়, কতটা তা নিয়ে এই প্রথম এক ধরনের জাতীয় ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ করেছে আইসিএমআর।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!