এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুকে নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মাঝেই এবার ‘প্রিয় দিদিকে’ বিশেষ রাজনৈতিক বার্তা কাননের

শুভেন্দুকে নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মাঝেই এবার ‘প্রিয় দিদিকে’ বিশেষ রাজনৈতিক বার্তা কাননের


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এতদিন দলের অন্দরে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। সেখানে তিনি মন্ত্রী পদে থাকাকালীন তাঁর অরাজনৈতিক ব্যানারে কাজ করা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছিল, তেমনই তাঁর মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়ার পরও নানা মুনির নানা মত শোনা যায়। যদিও যেখানে বেশিরভাগ সময়ই তাঁকে সংযত ভাবে উত্তর দিতেই শোনা গিয়েছিল।

তবে এরই মধ্যে তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাড়িতে বৈঠক হওয়ার কথা জানা যায়। যদিও এতদিন পর শুভেন্দু অধিকারীকে জনসমক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলতে শোনা গেছে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে কি বললেন তিনি? কি বিস্ফোরক উক্তি শোনা গেল তাঁর মুখে? সেই সব নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে।

জানা গেছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ১৯৯২ সালে কেন্দ্রে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবেই হোক বা, পরবর্তী সময়ে কয়লা কিংবা রেলমন্ত্রী হিসেবেই হোক, পুরো সময় তিনি কাজ করেননি। সেইসঙ্গে তাঁর কংগ্রেসের মন্ত্রিসভাতেও যে মন বসেনি সেই কথাও জানান তিনি। তাঁর কথায় উঠে এসেছে একটা সময়ে অধীর চৌধুরী এবং সুলতাম আহমেদকে টিকিট দেওয়ার কথাও।

যেখানে তিনি বলেন, একটা সময় এই ঘটনার বিরোধিতা করলেও, পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সুলতান আহমেদকে তৃণমূলে বরণ করে নিয়েছিলেন। এখানে বিজেপি নেতা শোভন চ্যাটার্জির কথাও উঠে এসেছে। সেখানে শোভন চ্যাটার্জি বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তনের সরকার এনেছিল।

কিন্তু তাঁর অভিযোগ ছিল সেখানে নেতা ও কর্মীদের অপ্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। আর সেখানে সিপিএম-এর নেতা কর্মীদের অন্তর্ভুক্তি করে প্রকৃত তৃণমূল কর্মীদের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই এদিন অভিযোগ জানান তিনি। এই বিষয়টিকে তিনি নতুন বোতলে পুরনো মদ বলেও কটাক্ষ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই বিষয়টিও যে সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি সেই কথাও শোনা গেছে। এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষ কেন তখন গ্রহণ করেছিল এবং কেন এখন বিরোধিতা করছে, সেটা জানান জন্য তাঁর আত্মসমালোচনার প্রয়োজন। তাঁর কথায়, নিজের ভুল নিজেকেই ধরতে হবে।

সেক্ষেত্রে কে বলছে সেটা না দেখে, কী বলছে সেটা দেখতে হবে বলেই অভিমত প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বেফাঁস কথা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এমনিতেই অনেক কথা হয়, সেখানে ব্যবহারই পরিচয় বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায় সাধারণ মানুষ চলাফেরাও নজর করছে বলেও বলতে শোনা গেছে তাঁকে।

অন্যদিকে, আগের পঞ্চায়েত ভোটের কথা উল্লেখ্য করে এদিন তিনি নির্বাচনে সন্ত্রাসের সমালোচনাও করেছেন। তাঁর কথায়, একটা সময় একাধিক জেলাপরিষদে আনকনটেস্টেড হিসেবে তৃণমূল জিতেছিল। সেই সময় থেকেই ৪২-এর ৪২টি দখল করতে হবে এই ভাবনা এসেছিল। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি কী সেটা তৃণমূল আঁচ করতে পারেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায়, ২০১৮-তে না হলেও ২০১৯-এ মানুষের চিন্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই তাঁর মতে ২০২১-এ সঠিকভাবে নির্বাচন হলে, বিজেপি বেশি এগিয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোর ও আইপ্যাকের সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে বলতে শোনা গেছে, প্যাক ওপেন করতে হবে, নাকি ব্যাক্স প্যাক করতে হবে, সেটা সময় বলবে।

তাঁর কথায়, বাংলার রাজনীতি এভাবে চলে না। সেইসঙ্গে নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথাও এদিন বলতে শোনা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায় তিনি জীবনকে বাজি রেখে কাজ করেছিলেন। পুরনো দলের বর্তমান কার্য প্রণালী বর্তমানে ভাড়া করা মাঝিকে দায়িত্ব দেওয়ার মত বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, বর্তমান দলের যা অবস্থা, সেটা ট্রলারের লোক জাহাজে আর জাহাজের লোককে ট্রলারে তুলে দেওয়ার মতো বলেই কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!