এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “দিদি নিজে কাজ করছেন না, কাউকে করতেও দিচ্ছেন না।” – মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

“দিদি নিজে কাজ করছেন না, কাউকে করতেও দিচ্ছেন না।” – মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ব্রিগেড সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে তিনি জানালেন যে, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এত বড় জনসভা ইতিপূর্বে তিনি দেখেননি। ভিড়ে ঠাসা জনসভায়, দীর্ঘসময়ের বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাঁর এই বক্তব্যের দ্বারা তিনি তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরিবারতন্ত্র সহ নানা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবলভাবে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জানলেন যে, মার্কস, লেনিনের মতবাদ হলো বামপন্থীদের আদর্শ, তৃণমূলের আদর্শ হলো কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি শ্যামাপ্রসাদের আদর্শে দীক্ষিত। তাই বিজেপির ডিএনএতে রয়েছে বাংলার অস্তিত্ব। এরপর জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কারা বহিরাগত তা তাঁরাই ভাবুন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, কখনো তাঁকে রাবণ, কখনো তাঁকে দৈত্য, কখনো গুন্ডা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, এত রাগ কেন?

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর দল ও তাঁর সরকারের ছড়ানো পাঁকেই আজ বাংলায় ফুটছে পদ্মফুল। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের নামে বাংলায় লুঠতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। জাত, ধর্মের নাম করে বিভেদের রাজনীতি করেছেন। তাই আজ বাংলায় পদ্মফুল ফুঁটছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী( দিদি)কে তিনি অনেক দিন ধরে চেনেন। যে দিদি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, সে দিদি এমন ছিলেন না, কিন্তু আজ দিদির রিমোট কন্ট্রোল অন্যের হাতে চলে গেছে। তিনি জানালেন, দিদি নিজে কাজ করছেন না, আবার কাউকে তিনি কাজ করতেও দিচ্ছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী জানান, এই বাংলার মাটিতে সারদা দেবী, মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এর মত মহীয়সী নারীরা জন্মেছিলেন। কিন্তু এখানে সরকারি প্রকল্পতে একজন মালকিনেরই নাম পাওয়া যায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, তিনি শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশেরই মেয়ে। কিছুদিন আগে স্কুটি সামলেছিলেন তিনি। সবাই ভয় পাচ্ছিলেন যে, তিনি যেন আঘাত না পান। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভাগ্যিস সেদিন তিনি পড়ে যান নি, না হলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যের সঙ্গে শত্রুতা বাধিয়ে বসতেন তিনি। তাই, ভালো হয়েছে যে, তিনি স্কুটি থেকে পড়ে যান নি।

কিন্তু ভবানীপুর যেতে যেতে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্কুটি। কেউ আঘাত পান, তা তিনি চান না। কিন্তু যখন নন্দীগ্রামেই গিয়ে পড়েছে তাঁর স্কুটি, তখন আর কি করবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, ১০ বছর পর আজ মানুষ জানতে চাইছেন, দিদি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে সকলে বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি শুধু ভাইপোর পিসি হয়েই রয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেসের মতো পরিবারতন্ত্রের পথেই কেন তিনি হাঁটলেন? প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, ” গোটা বাংলা এক স্বরে বলছে, আর নয় অন্যায়। তৃণমূল সরকারের আয়ু কমে আসছে। আজ গোটা দেশ শুনুক, দুর্নীতি আর নয়, তোলাবাজি আর নয়, কাটমানি আর নয়, সিন্ডিকেট আর নয়, বেকারত্ব আর নয়, হিংসা আর নয়, আতঙ্ক আর নয়, তুষ্টিকরণ আর নয়, অন্যায় আর নয়।” দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, তাঁরা তাদের রাগ, ক্ষোভ এত জোরে বলুন যে, তা যেন দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!